শিরোনাম
মিসরের ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’ পেতে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন নির্দেশনাযে পুলিশ বাহিনী আমাদের সন্তানদের গুলি করে, আমি সেই বাহিনী চাই না: মৎস্য উপদেষ্টাপ্রতিবেদনের একাংশের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্যইন্টারনেট ব্যবসার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বোনকে গুলি করে হত্যা করেন ভাই: পুলিশসার্ফ এক্সেলের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জামাল ভূঁইয়ালেগুনা গাড়ি থেকে ১৯ হাজার পচা ডিম জব্দ, পরে করতোয়া নদীতে ধ্বংসচট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ডশেরপুরে কিশোর অটোচালকের লাশ উদ্ধার, হত্যাকাণ্ড বলছে পরিবারট্র্যাকে লাইলসের কাণ্ড, ধাক্কা দিলেন বেডনারেকগুলিতে ঝরে যায় সাত তরুণের প্রাণ

৩২ হাজার শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে রয়েছে যে কারণে

৩২ হাজার শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে রয়েছে যে কারণে

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় বলেছেন, শুধু একটি মামলার কারণে দেশের প্রায় ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে রয়েছে।

আজ সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও জেলার স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, একটি মামলার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মামলাসংক্রান্ত সমস্যা সমাধান হলে ৩২ হাজার শিক্ষককে সহকারী শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হবে।

বিধান রঞ্জন রায় বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান্নোনয়নে ১৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার প্রধান শিক্ষক পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ করা হচ্ছে। স্কুলে যাওয়ার উপযোগী প্রত্যেক শিশুর বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেডের হলে সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখছি না। প্রশাসনিক অনেক পদ রয়েছে, যেখানে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ও যাদের নিয়ন্ত্রণ করা হয়, উভয়ে একই পদের। শিক্ষকদের জন্য বেতন কমিশন হয়েছে। বেতন কমিশন সেটি বিবেচনা করবে।’

কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের সরকারি প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেক ক্ষেত্রে নিম্নবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা পড়ে। তারা অনেক সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত থাকে। তাদের অভিভাবকেরা সঠিকভাবে খেয়াল রাখে না। অপরদিকে কিন্ডারগার্টেনে নিজস্ব বৃত্তি চালু রয়েছে। ক্লাস টু থেকে ফাইভ পর্যন্ত সেখানে বৃত্তি পরীক্ষা হয়। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বৃত্তি নয়, প্রাথমিক শিক্ষার মান্নোনয়ন।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের সংবিধানে আছে—সরকার প্রত্যেক নাগরিকের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করবে। যদি কেউ মনে করে, সে সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে, তাহলে আমাদের স্কুল ওপেন আছে। তারা সরকারি স্কুলে ভর্তি হোক, আমরা সবার দায়িত্ব নেব।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আগে পরীক্ষা থেকে মুক্তি দেওয়ার একটি প্রকল্প চালু ছিল। কিন্তু শিক্ষক, অভিভাবক কেউ তা ভালোভাবে নেননি। উন্নত দেশগুলোয় প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অনুপাত রয়েছে। কিন্তু সেই অনুপাত আমাদের দেশে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। তাই আমরা পুনরায় পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করেছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকে শিক্ষার্থীরা কত নম্বর পেল, তা আমরা দেখতে চাই না। বরং আমরা দেখতে চাই, একজন শিক্ষার্থী তার মাতৃভাষায় লিখতে, পড়তে, বুঝতে ও মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে কি না। সাধারণ অঙ্ক করতে পারে কি না। যদি এটি পারে, তবে আমরা বুঝব, শিক্ষার্থী পড়াশোনায় এগিয়ে গেছে। যারা পিছিয়ে রয়েছে, তাদের জন্য আমরা আলাদা ক্লাসের ব্যবস্থা করছি। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে, ডিসেম্বরে আমরা এর মূল্যায়ন করব।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button