শিরোনাম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সাক্ষী হলেন জুলাই আন্দোলনে পঙ্গু হওয়া ইমরানভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের রোমাঞ্চকর শেষটা দেখবেন কোথায়৫ আগস্ট ঘিরে কোনো সমস্যা নেই, তবুও আমরা সতর্ক আছি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাহঠাৎ করেই বড় ধাক্কা খেল পাকিস্তাননাসারও আছে নিজস্ব যুদ্ধবিমানের বহর, কী কাজে ব্যবহার করেঅবশেষে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামালেন প্রধান শিক্ষিকা, শিক্ষা অফিস থেকে তদন্তআটাবের কার্যনির্বাহী কমিটি বাতিল, প্রশাসক নিয়োগ দিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সুনামগঞ্জে বাস ভাড়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী-শ্রমিক সংঘর্ষ, অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটফ্রিজের বরফ পরিষ্কারের ৭ সহজ উপায়পাপ মোচনের কার্যকর উপায়—নেক কাজ ও তওবা

খুবি ক্যাম্পাসে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

খুবি ক্যাম্পাসে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ক্যাম্পাসে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত বাড়ছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত দুই মাসে অন্তত তিনজন শিক্ষার্থী কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা—বিশেষ করে ক্যাফেটেরিয়া, অদম্য বাংলা, কটকা, লেকসাইড ওয়াকওয়ে, ছাত্রী হল রোড, খাজা গেট এলাকায় দলবদ্ধভাবে ঘোরাফেরা করছে কুকুর। এতে এসব স্থানে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে জানান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত দুই মাসে তিনজন শিক্ষার্থী কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছেন। ফলে জলাতঙ্ক ও রেবিস ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে।

সম্প্রতি ক্যাফেটেরিয়ায় আড্ডার সময় কুকুরের আক্রমণের শিকার হন অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী রিফাত। তিনি বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি কুকুর আচমকা আমার পায়ে কামড়ে দেয়। রক্তপাত শুরু হয়। পরে বন্ধুদের সহায়তায় মেডিকেলে যাই। চিকিৎসক রেবিস ভ্যাকসিন নিতে বলেন।’

অপরাজিতা হলের শিক্ষার্থী পুষ্পিতা পূজা বলেন, ‘টিউশন শেষে রাতে হলে ফিরতে হয়। পথে কুকুর দেখে ভয় লাগে। মাঝে মাঝে কুকুর তেড়ে আসে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।’

কুকুরে কামড়ের পর করণীয় সম্পর্কে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. আরিশমা দেবনাথ বলেন, ‘সব কুকুরের শরীরে রেবিস ভাইরাস থাকে না, তবে কামড়ালে ঝুঁকি থাকে। আক্রান্ত হলে দ্রুত ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে সরকারি হাসপাতালে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন নিতে হবে।’

এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, কুকুর নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদাত বলেন, ‘আমরা সমস্যাটি জানি। সিটি করপোরেশনের সহায়তায় কুকুর নিধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে আদালতে রিট থাকায় তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। এখন কুকুরদের ভ্যাকসিনেশনের উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা চলছে।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button