শিরোনাম
ত্বক সুন্দর চাইলে নীল আলো থেকে দূরে থাকুনবাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যালিটন-তাসকিনদের নৈতিকতা-মূল্যবোধ শেখাতে বিসিবি সভাপতির বিশেষ ক্লাসগাজায় দুর্ভিক্ষে হাড্ডিসার ইসরায়েলি জিম্মিরাও, ভিডিও প্রকাশ হতেই পশ্চিমে হইচইপ্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অধীনে চাকরি, নেই বয়সসীমাজলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত কেশবপুর, আশ্রয় সড়কের পাশেএবার আর পারল না উইন্ডিজ, সিরিজ পাকিস্তানের‘নির্যাতনে ছাত্রলীগের অংশীদার হতেন শিবিরের নেতা-কর্মীরা’, ফেসবুক পোস্টে আবদুল কাদের দিলেন তাদের পরিচয়উল্টো পথে অটোরিকশা, লরির চাপায় নিহত ৩চ্যাটজিপিটি থেকে ফাঁস হলো ৪,৫০০ ব্যক্তিগত চ্যাট

কষ্টের দিনগুলো পেরিয়ে সাফল্যের শীর্ষে আই ইউ

কষ্টের দিনগুলো পেরিয়ে সাফল্যের শীর্ষে আই ইউ

দক্ষিণ কোরিয়ার মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় নাম লি জি উন। সারা বিশ্ব যাঁকে চেনে আই ইউ নামে। ২০০৮ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে সংগীতের দুনিয়ায় পা রাখেন। গত দেড় যুগে তিনি হয়ে উঠেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে ধনী সংগীতশিল্পী। তবে এই অবস্থানে আসতে তাঁকে পেরোতে হয়েছে দারিদ্র্য, প্রত্যাখ্যান, প্রতারণা আর হতাশার দিনগুলো।

সেলিব্রিটি নেট ওর্থের মতে, আই ইউর মোট সম্পদ বর্তমানে ৪০-৪৫ মিলিয়ন ডলার, যা তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী কে-পপ আইডলে পরিণত করেছে। প্রধানত সংগীতের মাধ্যমে এই বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ‘হোটেল ডেল লুনা’, ‘হোয়েন লাইফ গিভস ইউ ট্যানজারিন’-এর মতো সিরিজ এবং সিনেমায় অভিনয় করে বিপুল অর্থ আয় করেছেন। অন্য শিল্পীর জন্য গানও লিখেছেন তিনি। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হয়েও কাজ করেন আই ইউ।

সিউলে এক দরিদ্র পরিবারে ১৯৯৩ সালে জন্ম আই ইউর। তাঁর মা-বাবা তখন ঋণে জর্জরিত। সন্তানদের ভালোভাবে মানুষ করার সামর্থ্য তাঁদের ছিল না। বাধ্য হয়ে আই ইউ এবং তাঁর ছোট ভাইকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দাদির কাছে। তাঁর সঙ্গে একটি ছোট, ঘিঞ্জি বাড়িতে কেটেছে তাঁর শৈশবের বেশির ভাগ সময়। চুলের ক্লিপ বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে যে যৎসামান্য অর্থ আসত, তা দিয়েই চলত সংসার।

আই ইউ বলেন, ‘আমি এতই হতাশায় থাকতাম যে অনেক ছোটখাটো বিষয়েও অন্তর কেঁপে উঠত। আমি আসলেই অসুখী ছিলাম। দিন দিন হতাশায় তলিয়ে যাচ্ছিলাম। একসময় এমন অবস্থা হয়েছিল যে খাওয়া আর ঘুমানো ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।’ তবে এ পরিবেশেই আই ইউ প্রথম খুঁজে পান নিজের কণ্ঠস্বর। সংগীত নিয়ে কিছু করার স্বপ্ন বাসা বাঁধে তাঁর মনে।

শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বিভিন্ন এজেন্সিতে অডিশন দিতে শুরু করেন আই ইউ। ওই সময় ২০টির বেশি এজেন্সি ফিরিয়ে দেয় তাঁকে। প্রতিবেশীরা উপহাস করত তাঁকে দেখলেই। তবে এই উপহাস কিংবা প্রত্যাখ্যানের চেয়েও তাঁকে বেশি কষ্ট দিয়েছিল প্রতারণা। টিভিতে অভিনয়ের কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক ভুয়া কোম্পানি তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়।

অনেক চেষ্টার পর ১৫ বছর বয়সে লয়েন এন্টারটেইনমেন্টের (বর্তমানে কাকাও এম) সঙ্গে কাজের সুযোগ পান আই ইউ। ১০ মাসের প্রশিক্ষণের পর এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশ পায় তাঁর প্রথম গান ‘লস্ট চাইল্ড’। এতে তেমন সাড়া মেলেনি। স্টেজে প্রথম পারফরম্যান্সেও জুটেছিল অবজ্ঞা আর অপমান। অনেক দর্শক চিৎকার করে তাঁকে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলে। সেদিন অপমানিত হলেও থেমে যাননি আই ইউ।

২০১০ সালে ‘গুড ডে’ দিয়ে প্রথম সাফল্য পান তিনি। দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে। পরের বছর ‘দ্য রেড সুজ’, ‘মাই ওল্ড স্টোরি’, ‘ফ্রাইডে’ কিংবা ‘লাস্ট ফ্যান্টাসি’ গানগুলো আই ইউকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এনে দেয়। ২০২০ সালের মধ্যে তিনি হয়ে ওঠেন কে-পপের অন্যতম প্রধান কণ্ঠ। এখনো তাঁর সাফল্যের গল্প জারি আছে। নিজের প্রতিভা, ক্লিন ইমেজ আর জনহিতকর কাজের মাধ্যমে আই ইউ হয়ে উঠেছেন অন্যতম জনপ্রিয় সিঙ্গার-সংরাইটার।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button