দৌলতপুরে বজ্রপাত ১১ মহিষের মৃত্যু, ভাসিয়ে দেওয়া হলো পদ্মায়


দৌলতপুরে বজ্রপাত ১১ মহিষের মৃত্যু, ভাসিয়ে দেওয়া হলো পদ্মায়
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ২২
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর চরে বজ্রপাতে মারা যাওয়া মহিষ। আজ রোববার ভোরে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর চরে বজ্রপাতে দুই কৃষকের ১১টি মহিষ মারা গেছে। এতে কমপক্ষে ২৪ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে তাঁরা দাবি করেছেন। আজ রোববার ভোরে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার এলাকার নওয়াজুদ্দিনের ছেলে নবির আলীর ১০টি মহিষ এবং একই এলাকার এলাহি ঢালির একটি মহিষ বজ্রপাতে মারা যায়। তাঁরা একটি বাথানে মহিষগুলো পালন করছিলেন।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের দুই কৃষকের মোট ১১টি মহিষ বজ্রপাতে মারা গেছে। এতে নবির আলীর সবে চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। তাঁর ১০টি মহিষ মারা যায়।’
এলাহি ঢালি বলেন, ‘নবির আলী আমার ফুপাতো ভাই। তাঁর ১০টি মহিষ ও আমার একটি মহিষ মারা গেছে। আমাদের বাথানে প্রায় ৩০০ মহিষ আছে, যেগুলোর মালিক ২২ জন। আমাদের দুজনের ১১টি মহিষের মৃত্যুতে কমপক্ষে ২৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতগুলো মহিষ পুঁতে রাখা সম্ভব না হওয়ায় আমরা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছি। সরকার যদি একটু সহায়তার ব্যবস্থা করত, আমরা উপকৃত হতাম।’
দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহামুদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা জেনেছি। দুই কৃষকের ১১টি মহিষ বজ্রপাতে মারা গেছে। এগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২০ থেকে ২৪ লাখ টাকা।’
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বজ্রপাতে মহিষের মৃত্যু ঘটনাটি শুনেছি। সরকারিভাবে কোনো সহায়তার সুযোগ থাকলে, তা করা হবে।’