শিরোনাম

দুর্ঘটনা কয়েক মিনিট আগে ঘটলে প্রাণহানি আরও হতো: মাইলস্টোনের অধ্যক্ষ

দুর্ঘটনা কয়েক মিনিট আগে ঘটলে প্রাণহানি আরও হতো: মাইলস্টোনের অধ্যক্ষ

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা কয়েক মিনিট আগে ঘটলে প্রাণহানি আরও হতো বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন (অব.) জাহাঙ্গীর খান। তিনি বলেছেন, ‘দুর্ঘটনা যদি সেদিন দুপুর ১টা ৪-৫ মিনিটের দিকেও হতো, তাহলে আমরা আরও অনেক কিছু হারাতাম; আরও মা-বাবা সন্তানহারা হতেন। কারণ, স্কুল ছুটির পর প্রায় ১০ মিনিট লাগে বাচ্চাদের বের হতে।’

আজ শনিবার সকালে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের জন্য শোক ও দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জাহাঙ্গীর খান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর তাদের জন্য দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কলেজের ইংরেজি শিক্ষক নুসরাত আলম।

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি দোতলা ভবনে গত ২১ জুলাই বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে স্কুলটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, আয়াসহ ৩৪ জনের মৃত্যু ঘটে।

সেদিনের ঘটনা স্মরণ করে অধ্যক্ষ বলেন, ‘দুপুর ১টায় ছুটির সময় কখনো কখনো আমি বাইরে যাই না। বারান্দায় দাঁড়াই। হাঁটাহাঁটি করি। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন দেখি। স্টুডেন্টদের দেখি। সেদিন প্রধান শিক্ষিকা ডেকে নিয়ে গেলেন, ১টার সময় দুজন নতুন শিক্ষকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। বেলা ১টা ৪ মিনিটের দিকে বের হয়ে সেখানে গেলাম। আর ১টা ১২-১৩ মিনিটের মাঝামাঝি সময়ে দুর্ঘটনা ঘটল। না হলে হয়তো আমিও লাশ হয়ে যেতাম।’

অনুষ্ঠানে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ও আহত সবার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানান জাহাঙ্গীর খান।

তিনি বলেন, ‘যে বাচ্চারা আমাদের ছেড়ে গেছে, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। সবাইকে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই। উদ্ধারকাজে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই।’

মাইলস্টোন স্কুলের বাংলা মাধ্যমের সহকারী শিক্ষক মাসুকা বেগম যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের একজন। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর দুলাভাই খলিলুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার দিন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মাসুকার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে হাসপাতালে তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button