শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রের তুলায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক ছাড় পাবে বাংলাদেশ: বিজিএমইএগুলশানে চাঁদাবাজির মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা জানে আলম অপু রিমান্ডেমাদারীপুরে বালু তোলার ড্রেজার মেশিনে আগুন দিল উত্তেজিত জনতাকক্সবাজারে ট্রেনের ধাক্কায় একই পরিবারের ৪ জনসহ নিহত ৫ময়মনসিংহে ধর্ষণ মামলায় ২ আসামি গ্রেপ্তারবাংলাদেশি মডেল শান্তা ভারতে গুপ্তচরবৃত্তি করছিলেন কি না খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশসম্প্রচার প্রতিষ্ঠান ভারতীয়, পাকিস্তানে এশিয়া কাপ দেখা নিয়ে শঙ্কাভ্যানের জন্য দুই বন্ধু মিলে অপর বন্ধুকে খুনহবিগঞ্জে চা-বাগানের রাস্তায় গাছ ফেলে ট্রাকে ডাকাতিমির্জাপুরে অপহরণ করে চাঁদা দাবি, স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৬

মঙ্গলের হিমবাহের ৮০ শতাংশই বিশুদ্ধ পানির বরফ: গবেষণা

মঙ্গলের হিমবাহের ৮০ শতাংশই বিশুদ্ধ পানির বরফ: গবেষণা

মঙ্গল গ্রহজুড়ে বিস্তৃত হিমবাহগুলো মূলত বিশুদ্ধ পানির বরফে তৈরি। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই জানিয়েছেন একদল গবেষক। মঙ্গল গ্রহে কোনো ভবিষ্যৎ অভিযানের জন্য এই হিমবাহগুলো হতে পারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পানির উৎস।

গত কয়েক দশক ধরেই মঙ্গলের পাহাড়ি ঢালে ধুলোয় ঢাকা হিমবাহের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পূর্ববর্তী গবেষণাগুলো দেখিয়েছিল, এসব হিমবাহ হয়তো ৩০ শতাংশের মতো বরফযুক্ত পাথুরে হিমবাহ, অথবা ৮০ শতাংশের বেশি বরফসমৃদ্ধ ধুলোয় মোড়া বরফের হিমবাহ। তবে একেকটি গবেষণায় ভিন্ন ভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় তুলনামূলক বিশ্লেষণ ছিল বেশ কঠিন।

টরন্টোর ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির আর্থ অ্যান্ড স্পেস সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষণার সহলেখক আইজ্যাক স্মিথ জানিয়েছেন, ‘বিভিন্ন গবেষক বিভিন্ন স্থান বিশ্লেষণ করেছেন এবং ব্যবহৃত পদ্ধতির ভিন্নতার কারণে তাঁদের ফলাফলগুলো তুলনা করা কঠিন ছিল।’

তবে এবার এসব হিমবাহের প্রকৃত উপাদান বিশ্লেষণে নাসার মঙ্গল পর্যবেক্ষণ যান ‘মার্স রিকনেসান্স অরবিটারে’ থাকা শ্যালো রাডার ইনস্ট্রুমেন্ট (এসএইচএআরএডি) ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁরা মঙ্গলের পাঁচটি নির্দিষ্ট স্থানে রাডার তরঙ্গের গতি ও শক্তি কীভাবে বস্তুর মধ্যে প্রবেশ করে এবং ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তা বিশ্লেষণ করেন। এতে বোঝা যায়, হিমবাহে বরফ ও পাথরের অনুপাত কতটা।

গবেষণার আরেক সহলেখক ওডেড আহারনসন বলেন, ‘আমরা যেসব স্থানে পরীক্ষা করেছি, সেগুলো তুলনামূলকভাবে বিশুদ্ধ পানির বরফের সঞ্চয় হিসেবে বর্ণনা করা যায়, যার বরফের পরিমাণ প্রায় ৮০ শতাংশ বা তারও বেশি। এসব বরফ পাতলা পাথর বা ধুলোর আবরণের নিচে রয়েছে। ভবিষ্যতে যদি মানবজাতি এগুলো ব্যবহারের চেষ্টা করে, তাহলে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে কাজে লাগতে পারে।’

গবেষণায় উঠে এসেছে, মঙ্গলের বিপরীত গোলার্ধের হিমবাহগুলোর গঠনও প্রায় একই রকম। এটি ইঙ্গিত করে, বরফ গঠনের পরিবেশগত শর্ত মঙ্গল গ্রহজুড়ে সম্ভবত একই ছিল।

আহারনসন জানান, ‘বরফগুলো হয়তো বায়ুমণ্ডলের বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে অর্থাৎ, তুষারপাতের মাধ্যমে গ্লেসিয়ারের সৃষ্টি হয়েছে অথবা বরফ সরাসরি জমে গঠিত হয়েছে। মানে, মাটির ওপর তুষারের মতো বরফ গড়ে ওঠে। তবে এটি সম্ভবত ‘পোর আইস’ বা ভূগর্ভস্থ বরফের মাধ্যমে গঠিত হয়নি, যেখানে বায়ু থেকে জলীয়বাষ্প মাটির নিচে ঢুকে জমে বরফ তৈরি করে। আমরা জানি, এ ধরনের ঘটনা পৃথিবীর আলাস্কা ও আন্টার্কটিকার মতো জায়গায় ঘটে। যদি হিমবাহের বরফ এই পদ্ধতিতে গড়ে উঠত, তাহলে এতে অনেক বেশি দূষণ থাকত। তবে আমরা সেটাই দেখতে পাইনি।’

গবেষকেরা জানান, তাঁরা ভবিষ্যতে আরও মঙ্গলের হিমবাহ বিশ্লেষণ করবেন, যাতে এই বরফের গঠন ও গঠনের ইতিহাস সম্পর্কে আরও নিশ্চিত ধারণা পাওয়া যায়।

গবেষণাটি গত ১২ জুলাই ‘ইকারাস’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

তথ্যসূত্র: স্পেস ডট কম



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button