যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশ ফিরল আরও ৩৯ বাংলাদেশি


যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরত এসেছেন আরও ৩৯ বাংলাদেশি। একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরত আসেন তাঁরা। আজ শনিবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় দলটি। রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এই দফায় কমবেশি ৫০ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেলেও সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন ৩৯ জন। তাঁদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, জানা গিয়েছিল—যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে আটক হওয়া বাংলাদেশের একদল নাগরিককে ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছে দেশটির সরকার। আজ শনিবার তাঁদের ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলে গতকাল এক বাংলাদেশি কূটনীতিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।
তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অবৈধ হয়ে ধরা পড়া বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশেও প্রতি মাসে কিছু মানুষকে ফিরতে হচ্ছে। আগামীকাল যে দলটি ঢাকায় পৌঁছাবে, তাতে ঠিক কতজনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরতে হচ্ছে, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, যাঁদের সেখানে আটক করা হয়, সবাইকে একবারে পাঠানো হয় না। বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় পরিচয় ও নাগরিকত্ব যাচাই করে তারপর পাঠানো হয়। এবার কমবেশি ৫০ জন ফিরতে পারেন—এমন একটি কথা মার্কিনরা জানালেও বাস্তবে সম্ভবত ফিরবেন অনেক কম। তিনি জানান, এর আগে ৮৩ জনকে একবারে পাঠানোর কথা বললেও সেবার এসেছে দুই ডজনের মতো।
এবার যে দলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো হচ্ছে, তাদের বিষয়ে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন ইতিমধ্যে ঢাকায় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, তাদের নিয়ে একটি মার্কিন সামরিক বিমানের আগামীকাল সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
মিশনের একজন কূটনীতিক জানান, আটক হওয়া ব্যক্তির বৈধ পাসপোর্ট থাকলে তাঁকে দ্রুত পাঠানো হচ্ছে। মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট থাকলে বাংলাদেশ মিশন থেকে একমুখী ট্রাভেল পারমিট (টিপি) দেওয়ার পর পাঠানো হচ্ছে। আর যাঁদের পরিচয় শনাক্ত করার মতো পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র বা অন্য কোনো প্রমাণপত্র নেই, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাঁদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা গেলে তারপর টিপি দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, বিভিন্ন সময় আরও ১১৮ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠায় দেশটি। গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারত, ব্রাজিলসহ অনেক দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হয়।