শিরোনাম
এবার বিপিএলকে চ্যালেঞ্জ জানাবে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগওভারতে কোহলিদের বিপক্ষে ক্রিকেট ম্যাচে লড়বেন মেসিউত্তরা থেকে গ্রেপ্তার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ৩ নেতারাজধানীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৫ভবিষ্যৎ সরকারকে ‘জুলাই সনদ’ মেনেই চলতে হবে: জামায়াতরাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক সেনা কর্মকর্তা, তদন্তে আদালত গঠন: আইএসপিআর‘তাকে কয়েক মিনিটের জনপ্রিয়তা উপভোগ করতে দাও’, অভিযোগের জবাবে বললেন বিজয়অনাহারে ৯০ শিশুর মৃত্যুর পর গাজা সফরে যাচ্ছেন মার্কিন দূতপাল্টা শুল্ক প্রতিযোগীদের সমান এটাই স্বস্তির: বিজিএমইএ সভাপতিভারত ম্যাচে পাকিস্তানের জার্সি পরা দর্শক ঢুকতে না দেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ

সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করবে: ঢাকা চেম্বার

সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করবে: ঢাকা চেম্বার

বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

ডিসিসিআই আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ জানায়। বিবৃতিতে বলা হয় ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগের পাশাপাশি সার্বিক শিল্পায়ন কার্যক্রমে স্থবিরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থবছরের ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের জুন মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে মাত্র ৬ দশমিক ৪ শতাংশে, যা গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ডিসিসিআই মনে করে, ব্যবসায়িক পরিবেশের অনিশ্চয়তা, আইনশৃঙ্খলার অস্থিতিশীলতা, সীমিত জ্বালানি সরবরাহ এবং সর্বোপরি কঠোর মুদ্রানীতির কারণে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির এই নিম্নগতি আরও তীব্র হচ্ছে। এ অবস্থায় খেলাপি ঋণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩ লাখ কোটি টাকা, যা মোট বকেয়া ঋণের প্রায় ২৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, এটি আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি তৈরি করছে, সেই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ক্ষুণ্ন করছে বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার।

ব্যবসায়িক আস্থার এই নিম্নমুখিতা সত্ত্বেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নীতিসুদ হার ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ডিসিসিআইয়ের মতে, এই দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ সুদের হার বিশেষকরে ক্ষুদ্র, কুটির, ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং উৎপাদনশীল খাতের ওপর অতিরিক্ত ঋণের ভার চাপিয়ে দিচ্ছে, যা অর্থনৈতিক গতিশীলতা ব্যাহত করছে। নতুন মুদ্রানীতিতে আগামী ছয় মাসের জন্য বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ২ শতাংশ, যা পূর্ববর্তী নীতিতে ছিল ৯.৮ শতাংশ। এর বিপরীতে সরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ২০ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে, যা অর্থনীতিতে আর্থিক চাপ বৃদ্ধি করবে, সেই সঙ্গে করদাতাদের ওপর বোঝা বাড়বে, পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ঋণপ্রাপ্তির সুযোগ আরও সংকুচিত করবে।

ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়াতে সুদের হার হ্রাস এবং ঋণের শর্তাবলি সহজ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে ঢাকা চেম্বার, একই সঙ্গে সৎ ঋণগ্রহীতাদের পুনরুদ্ধারে সহায়তা এবং তাৎক্ষণিক খেলাপির ঝুঁকি এড়াতে ঋণ শ্রেণিবিন্যাসের সময়সীমা ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করতে ডিসিসিআই আর্থিক খাতে কাঠামোগত সংস্কার, ঋণ বরাদ্দে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং তারল্য নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারির ওপর জোরারোপ করছে ঢাকা চেম্বার।

ডিসিসিআইয়ের মতে, ভবিষ্যতে বিশেষ করে, বেসরকারি খাতের আস্থা পুনরুদ্ধার, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য আরও নমনীয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও খাতভিত্তিক প্রতিক্রিয়াশীল মুদ্রানীতির কোনো বিকল্প নেই।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button