শিরোনাম
পেহেলগামের ঘটনা ভুলে গেলে কি চলবে, প্রশ্ন ভারতীয় ক্রিকেটারেরপিএসসি-দুদক-সিএজি ও ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান থাকবে সংবিধানে, সিদ্ধান্ত কমিশনেরটানা সপ্তাহখানেক বৃষ্টি থাকবেমিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরেই নির্বাচনবৃক্ষরোপণ—সবুজে আঁকা ইবাদতের ছবিডিবির হারুনকে ‘জিন’ ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: সাবেক আইজিপির জবানবন্দিবাঙ্গালী নদীতে ভেসে এলো অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধারহাওরে মাছ ধরার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে তরুণের মৃত্যুসেপটিক ট্যাংক থেকে মানি ব্যাগ তুলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যুহাসিনা আমলের নির্যাতনের অবসান হলেও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন, বিচারবহির্ভূত গ্রেপ্তার অব্যাহত: এইচআরডব্লিউ

নওগাঁয় সড়কে আলু ফেলে মানববন্ধন

নওগাঁয় সড়কে আলু ফেলে মানববন্ধন

ধান-গমের মতো আলুরও সরকার-নির্ধারিত মূল্য চেয়ে নওগাঁয় মানববন্ধন করেছেন চাষিরা। আজ বুধবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলা পরিষদের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় ক্ষোভ জানিয়ে অনেক কৃষক হাতে থাকা আলু রাস্তায় ছুড়ে ফেলেন।

নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকার কৃষক ও আলু ব্যবসায়ী পরিবারের ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে বাজারে আলুর দাম উৎপাদন খরচের অর্ধেকেরও কম। এক কেজি আলুতে লোকসান হচ্ছে ১৭-১৮ টাকা। ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ করে চাষ করা আলুর এভাবে দাম না পেয়ে কৃষকেরা এখন পড়েছেন চরম বিপাকে। সরকার যদি দ্রুত আলুর ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ না করে, তাহলে তাঁরা আরও বড় আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলেও জানান।

সরকারিভাবে আলুর দাম নির্ধারণ চেয়ে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সরকারিভাবে আলুর দাম নির্ধারণ চেয়ে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চকবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, ‘সার আর ফসফেটের দাম বেশি, চাষের শুরু থেকেই খরচ বাড়তি। আলুর দাম উঠছেই না। ধান-চালের মতো আলুরও সরকার-নির্ধারিত মূল্য চাই।’

বক্তারপুরের কৃষক বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘এক মণ আলু চাষে খরচ হয়েছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। এখন সেই আলু বিক্রি করতে হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকায়। হিমাগারেও খরচ বেশি নিচ্ছে। আমরা কোথায় যাব? সরকার যদি এগিয়ে না আসে, আমরা ধ্বংস হয়ে যাব।’

কৃষক সাইফুল আলম বলেন, ‘গরু বিক্রি আর এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছি। এখন বাজারে দাম নেই। হিমাগারে রাখতেও প্রতি কেজিতে আগের চেয়ে ৪ টাকা বেশি নিচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রতি কেজি আলুতে খরচ হচ্ছে ২৫-২৬ টাকা। অথচ পাইকারি বাজারে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ১১-১২ টাকায়।’

এ বিষয়ে নওগাঁ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সোহাগ সরকার বলেন, এ বছর আলুর উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। ফলে দাম কমেছে। এই সময়ে অন্যান্য সবজি বেশি থাকায় আলুর চাহিদা কম থাকে। তবে সরকার টিসিবি বা ওএমএসের মাধ্যমে আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button