গোপালগঞ্জে বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা-বাণিজ্যের অভিযোগ


গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা-বাণিজ্যের অভিযোগ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। আজ বুধবার গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। এ সময় নিরীহ, নিরপরাধ মানুষ যেন গণগ্রেপ্তারের শিকার না হয়, তার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তরের দপ্তর সম্পাদক কাজী রনি, যুব অধিকার পরিষদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মোনায়েম ও যুব অধিকার পরিষদ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, ‘১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে একপ্রকার গণগ্রেপ্তার চলছে। সাধারণ মানুষ, যাঁরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নেই বা যাঁরা দিনমজুর, ভ্যানচালক, রিকশাচালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ, তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘আমরা দেখতে পেয়েছি যে কিছু অসৎ রাজনীতিবিদ তাঁদের গ্রাম্য রাজনীতি ও পারিবারিক বিরোধের জের এখন এই জায়গায় খাটাচ্ছে। যাঁরা এই নিরীহ মানুষদের গ্রেপ্তার করাচ্ছেন, সেই জায়গা থেকে প্রশাসনকে সরে আসতে হবে।’
শেখ মো. মোনায়েম বলেন, ‘১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে শুধু আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপালে হবে না। কিছু দায় এনসিপিকে নিতে হবে। সেদিন তাদের কিছু উসকানিমূলক বক্তব্য আওয়ামী লীগসহ সাধারণ মানুষকেও বিষিয়ে তুলেছিল। আমরা সবাই ভেবে নিয়েছিলাম, তাদের (এনসিপি) দল গঠিত হয়েছে কিছু দিন হলো। যার ফলে তাদের কিছু রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাব ছিল।
‘কিন্তু তাদের দূরদর্শিতার অভাবের কারণে গোপালগঞ্জের ১২ লাখ মানুষ হয়রানির শিকার হবে, সেটা তো আমরা মেনে নেব না। ওই দিনের ঘটনায় বেশ কিছু জ্ঞাত ও অজ্ঞাতনামা করে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা থেকে কিছু ফাঁকফোকর তৈরি হয়েছে। যার কারণে কিছু রাজনৈতিক দল অর্থাৎ বিএনপির মামলা-বাণিজ্যের সুযোগ হয়েছে। এটা যদি বন্ধ না করা হয়, তাহলে গণঅধিকার পরিষদ রাজপথে কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’
কাজী রনি বলেন, ‘এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে সেদিনের ঘটনায় আমাদের গণঅধিকার পরিষদের কিছু নেতা-কর্মীর স্বজনদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর কারণ হলো, গণঅধিকার পরিষদের কণ্ঠ রোধ করে রাখা। এই কাজ করছে একটি রাজনৈতিক দল, তারা হচ্ছে বিএনপি। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করব, এমন কর্মকাণ্ড থেকে যেন তারা সরে আসে। আর অবিলম্বে যেন গণগ্রেপ্তার বন্ধ করে।’