লালপুরে পদ্মায় স্পিডবোটে করে এসে গুলি, এলাকায় আতঙ্ক


নাটোরের লালপুরে পদ্মার শাখানদীতে স্পিডবোটে এসে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে পদ্মার শাখানদীতে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছিদ্দিক আলী। তিনি বলেন, ‘গোলাগুলির ঘটনাটি স্থানীয়দের কাছে থেকে শুনেছি। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা জানা যায়নি।’
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে পদ্মার শাখানদীতে লাল রঙের একটি স্পিডবোট নিয়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তীরে মোটরসাইকেল নিয়ে আসা অজ্ঞাতনামা আরেক ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। লাল রঙের স্পিডবোট থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নদীর তীরে নামতেই সাদা রঙের আরেকটি স্পিডবোটে চার-পাঁচজনের একটি দল এসে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। এ সময় তীরে থাকা উভয় ব্যক্তি দৌড়ে গ্রামের মধ্য দিয়ে পালিয়ে যান। সাদা রঙের স্পিডবোটের সদস্যরাও লাল স্পিডবোটটি নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।’
মমিনুজ্জামান আরও বলেন, এ ঘটনায় এখনো কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। কী নিয়ে এই গুলির ঘটনা এবং কারা জড়িত, তা জানার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, গত পাঁচ মাসে লালপুরে পাঁচটি গুলির ঘটনা ঘটেছে। ১২ জুলাই উপজেলার পদ্মার চরে দিয়ার বাহাদুরপুর এলাকায় কাকন বাহিনীর গুলির ঘটনায় সোহান হোসেন নামের এক রাখাল আহত হন। ২০ মে একটি আশ্রমে প্রকাশ্যে গুলি ও চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। ১৮ এপ্রিল বিলমাড়িয়া গ্রামে মাদকের পাওনা টাকা নিয়ে গোলাম কিবরিয়া নামের এক মাদকসেবীকে মারধর ও প্রকাশ্যে ফাঁকা গুলি ছোড়ে মাদক কারবারি মনি সরদার।
গত ৩১ মার্চ বালিতিতা রামকৃষ্ণপুর ঈদগাহ মাঠে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের গুলির ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ৬ মার্চ ঈশ্বরদী ইউনিয়নের পালিদেহা গ্রামে মোজাহার হোসেন নামের এক ইউপি সদস্যকে এলোপাতাড়ি গুলি করে দুর্বৃত্তরা।
ওসি মমিনুজ্জামান বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।