শিরোনাম

বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরী, ভোগান্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ কর্মজীবীরা

বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরী, ভোগান্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ কর্মজীবীরা

টানা বৃষ্টিপাত আর জোয়ারের পানিতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে এসব এলাকায় যানবাহন চলাচল না করায় দুর্ভোগে পড়েন এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ কর্মজীবী লোকজন।

গত দুদিন ধরে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আজ সোমবারও (২৮ জুলাই) একই রকম পরিস্থিতি ছিল। টানা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে জোয়ারের পানিও নগরে ঢুকেছে। সাগরের প্রবল জোয়ারের চাপে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর পানি উপচে নগরীর নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে, সকালে নগরের কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, চান্দগাঁও, প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ, জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, রেয়াজউদ্দিন বাজার, তিনপোলের মাথা, হালিশহর, আতুরার ডিপো হাজীপাড়া, নয়াবাজার, বাকলিয়াসহ বিভিন্ন নিচু এলাকার সড়ক ও অলিগলি পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকা হাঁটু ও কোমরসমান পানিতে তলিয়ে ছিল।

বৃষ্টির কারণে সড়কে যানবাহন খুব কম চোখে পড়ে। সকালে বের হয়ে রাস্তায় গণপরিবহন না পেয়ে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ অনেকেই ভোগান্তিতে পড়ে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। অনেকেই সড়কে রিকশা পেতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনেছে। আবার কেউ কেউ গাড়ি না পেয়ে জলাবদ্ধ সড়কে হেঁটেই রওনা দেয়। জলাবদ্ধতার কারণে বিভিন্ন স্থানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিকল হয়ে রাস্তায় সাময়িক যানজট তৈরি হয়।

চট্টগ্রামে বহদ্দারহাট থেকে চমেক হাসপাতালে সেবা নিতে আসা মানিক নামের এক তরুণ আজকের পত্রিকাকে জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় কাপাসগোলা ও বাদুরতলায় কোমরসমান পানি ছিল। তবে বহদ্দারহাটে পানি ছিল না। বহদ্দারহাট থেকে চকবাজারসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার যানবাহনগুলো বন্ধ ছিল। কয়েকটি রিকশা শুধু চলছিল।

তিনি বলেন, ‘উপায় না দেখে পরে হাসপাতালে আসার জন্য রিকশা ধরলাম। যেখানে রিকশায় গন্তব্যে পৌঁছতে ৭০ টাকা রিকশা ভাড়া লাগে, সেখানে আজ ২০০ টাকা দিয়ে হাসপাতালে পৌঁছেছি।’ বেলা ২টায় সর্বশেষ খবর নেওয়া পর্যন্ত নগরের পাঁচলাইশ আবাসিক, কাতালগঞ্জ আবাসিক, বাদুরতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে ছিল।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মাহমুদুল হাসান বলেন, আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া আমবাগান আবহাওয়া কেন্দ্রে একই সময়ে রেকর্ড করা হয়েছে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমতে পারে।

নগরীর কাপাসগোলা ও কাতালগঞ্জ এলাকা পরিদর্শনে যান চসিক মেয়র শাহাদাত হোসেন। এ সময় মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, ‘জলাবদ্ধতা ৫০ শতাংশ আমরা কমাতে পেরেছি। এটা সময়ের ব্যাপার। ৫৭টি খালের মধ্যে ৩৬টি খালের কাজ করছে সিডিএ। এর মধ্যে ২২টি খালের কাজ শেষ হয়েছে। ১৪টি খালের কাজ বাকি আছে। এর বাইরে আরও ২০টি খাল বাকি, সেগুলোও সংস্কার করতে হবে।

মেয়র বলেন, ‘এই এলাকার মূল খাল হিজড়া খাল। এটা কাপাসগোলা থেকে নিয়ে কাতালগঞ্জ পর্যন্ত। এই খালের সংস্কার শেষ হলে এবং নালার কাজ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান হবে।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button