ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে দিশেহারা ঝালমুড়ি বিক্রেতা


গাজীপুরের শ্রীপুরে মাত্র দুটি বৈদ্যুতিক বাল্ব, দুটি সিলিং ফ্যান ও একটি ফ্রিজ চালিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আবদুল মান্নানের বাড়িতে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা। এ ‘ভুতুড়ে বিল’ পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী। ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী মো. আবদুল মান্নান শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গাড়ারণ গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রীর নামে পল্লী বিদ্যুতের একটি সংযোগ রয়েছে।
রোববার দুপুরে জুলাই মাসের বিল নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎকর্মীরা বাড়িতে গেলে দেখা যায়, বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা। অথচ এপ্রিল মাসে তাঁর বিল এসেছিল ১৪০ টাকা, মে মাসে ১১৫ টাকা ও জুনে ১২৬ টাকা।
আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, এমন বিল পেয়ে মাথা ঘুরে গেছে। এখন আবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দরজায় দরজায় ঘুরতে হবে। এটা মারাত্মক হয়রানি। সারা জীবনেও এত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা সম্ভব না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আলম বলেন, ‘একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতার বাড়িতে এমন বিল আসা ভুল ছাড়া আর কিছু নয়। বিষয়টি আমরা দেখছি। বিল সংশোধন করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিল প্রস্তুতকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’