শিরোনাম
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের স্ট্রোনোগ্রাফারকে ৭ বছরের কারাদণ্ডহেলপারের হাতে ট্রাক, দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা দিয়ে প্রাণ গেল চালকেরস্টেট ইউনিভার্সিটি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (সুজা) নতুন সভাপতি কাইয়ুম ও সম্পাদক ফারদিনতুরস্কে ভূমিকম্পে প্রাণহানি কমানো যেত, ব্যর্থতা স্বীকার করল গুগলন্যায়পরায়ণ শাসক পরকালে যে পুরস্কার পাবেনএক বছরে ৪০৯ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ শোধ করল বাংলাদেশইংল্যান্ডের হ্যান্ডশেক প্রস্তাবে ভারতের রাজি না হওয়ার কারণ কীবাবার কবরেই সমাহিত হলেন জসীমপুত্র রাতুলরায়পুরায় অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার, দুই নারী আটকজাতীয় সনদকে ঐতিহাসিক দলিল রূপে পেশ করার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে কমিশন: আলী রীয়াজ

সড়কের কাজ শুরুর আগেই মেয়াদ শেষ, জনদুর্ভোগ চরমে

সড়কের কাজ শুরুর আগেই মেয়াদ শেষ, জনদুর্ভোগ চরমে

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাজার বিরামপুর। জনবহুল এই বাজারের প্রধান সড়কটির দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতারা। সড়ক সংস্কারে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হলেও বছরের পর বছর কাজই শুরু হয়নি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ‘গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণ’ প্রকল্পের আওতায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ একটি আরসিসি সড়ক নির্মাণের জন্য গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ‘ফাতেমা ট্রেডার্স’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়। ১০৫ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার শর্ত থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো কাজই শুরু হয়নি।

ইতিমধ্যে চলতি বছরের এপ্রিলেই প্রকল্পের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে। ফলে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন করে পুনঃ টেন্ডারের উদ্যোগ নিয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আফজাল হোসেন বলেন, ‘বর্ষাকালের কারণে কাজে বিলম্ব হয়েছে। আমরা মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছি। বর্ষা শেষে কাজ শুরু করব।’

কিন্তু বাজারের মানুষের ভোগান্তি দীর্ঘদিনের। স্থানীয় ব্যবসায়ী মিজান, খোকন মিয়াসহ কয়েকজন বলেন, ‘সড়কের অবস্থা এতটাই খারাপ যে আমরা নিজেরা ইট ফেলে চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। প্রতিবছর বাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা ইজারা নেওয়া হলেও রাস্তাঘাটের কোনো উন্নয়ন হয় না। এখন পর্যন্ত এক ট্রাক বালিও আসেনি।’

অটোরিকশাচালক ও স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির নেতা মনির হোসেন বলেন, ‘এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালানো অত্যন্ত কষ্টকর। শুধু বিরামপুর নয়, রামপুর বাজার থেকে সোলাখালী ব্রিজ পর্যন্ত পুরো সড়কেই যানবাহন চলাচল প্রায় অসম্ভব।’

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহমেদ বলেন, ‘টেন্ডার হলেও ঠিকাদার সময়মতো কাজ শুরু করেননি। ১৫ এপ্রিল কার্যাদেশের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমরা কার্যাদেশ বাতিলের জন্য পত্র দিয়েছি এবং দ্রুত পুনরায় টেন্ডার আহ্বানের প্রক্রিয়া শুরু করব।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button