বাংলাদেশে এসে মনে হচ্ছে ইরানেই আছি, বলছেন ফুটসাল কোচ


অচেনা দেশ, আসার আগে তাই পরিবার থেকেও পেয়েছিলেন সতর্কবার্তা। কিন্তু পা রাখার পর সবকিছুই যেন আপন মনে হচ্ছে সাঈদ খোদারাহমির। ইরানি এই কোচের হাত ধরে অচেনা ফুটসালকেও আপন করে নিতে চায় বাংলাদেশ।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটসালের যুগে পা রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ায় শুরু হবে টুর্নামেন্ট। চ্যাম্পিয়ন ইরান ও স্বাগতিক মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে লড়তে হবে তাদের।
কাজটা যে কঠিন খোদারাহমি তা বুঝতে পারছেন। আজ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে আমি প্রথমবারের মতো আপনাদের দেশে আসি। আমার দায়িত্বটা খুবই কঠিন। আজ আমি আপনাদের প্রশ্ন করতে চাই। বাংলাদেশে আপনাদের ফুটসাল স্টেডিয়াম কয়টি, ফুটসালে কতজন কোচ, কতজন রেফারি ও কতজন খেলোয়াড় আছে? আমি মনে করি আজ আপনাদের দেশে ফুটসাল জন্ম নিয়েছে। আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন।’
বাংলাদেশের আগে মিয়ানমারের প্রধান কোচ ছিলেন খোদারাহমি, ‘আপনাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে আমি পাঁচ বছর কাজ করেছি। সেখানেও একই কথা বলেছি। দয়া করে সবাই সমর্থন করবেন। হয়তো আমি কোনও সময় ভুল করব। তবে আমাকে জানাবেন। আমি খুশি হবো। আমাকে ভালো বলার দরকার নেই। উন্নতির জন্য সমর্থন করবেন, ধ্বংস করার জন্য নয়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৬ সালকে কেন্দ্র করে আমাদের পরিকল্পনা শুরু হচ্ছে।’
বাংলাদেশে ফুটসাল নিয়ে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ফুটসালের ভবিষ্যৎ খুব শক্তিশালী। আমি অনুরোধ করছি, সবাই হাতে হাত ধরে কাজ করবেন। কারণ ফুটসাল এখন শিশু। আর শিশুদের সহায়তা প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য দেখছেন না খোদারাহমি, ‘এখানে আসার আগে পরিবার সতর্ক করেছিল, বাংলাদেশি খাবার খেতে পারব না। তবে ২৪ ঘণ্টা হলো এখানে আছি, মনে হচ্ছে যেন ইরানেই আছি। আমি আশা করি, আমি আবার ইরানে ফিরে যাবো। কিন্তু জানি না, কবে। আমি এখানে ভালো আছি।’
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য এখনো দল নির্ধারণ করেনি বাংলাদেশ। ৫৩ খেলোয়াড়কে ট্রায়ালে পরখ করে দেখবেন খোদারাহমি। সেই সংখ্যাটা ১৪তে নামিয়ে আনবেন তিনি।