ট্রলিং বোট নিষিদ্ধের দাবিতে কুয়াকাটায় জেলেদের মানববন্ধন


বঙ্গোপসাগরে দিন দিন বেড়ে চলেছে মাছ ধরার অনুমোদনহীন নৌযান ট্রলিং বোট। এসব নৌযানে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করায় মারা যাচ্ছে সব প্রজাতির মাছের পোনা। যার ফলে মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ট্রলিং বোট নিষিদ্ধদের দাবিতে আজ রোববার (২৭ জুলাই) বেলা ১১টায় কুয়াকাটায় শত শত জেলের উপস্থিতিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, ট্রলিং বোটের মাধ্যমে নির্বিচারে মাছ শিকার করায় সমুদ্রে মাছের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মৎস্য আহরণে।
এমন অবস্থা চলতে থাকলে মাছশূন্য হয়ে পড়বে সমুদ্র। ট্রলিং বোট ব্যবসায়ীরা সংখ্যায় কম হলেও ক্ষতি হচ্ছে অনেক বেশি। মৎস্য বন্দরে আলীপুর-মহিপুর বহিরাগতসহ ট্রলিং ব্যবসায়ীর সংখ্যা রয়েছে ৫০ থেকে ৬০টি। কিন্তু এই অঞ্চলে লম্বা জাল, খুটাজাল, ছান্দিজালের মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে কয়েক হাজার। বর্তমান সরকারের কাছে দাবি, জেলেদের বাঁচাতে দ্রুত অবৈধ ট্রলিং বোট যেন নিষিদ্ধ করা হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, ৪০ মিটার গভীরতার কম পানিতে মাছ শিকার করতে পারবে না ট্রলিং বোট। কিন্তু এর তোয়াক্কা না করেই বঙ্গোপসাগরে ট্রলিং বোট দিয়ে মাছ শিকার করায় সরকারের মাছ উৎপাদন বাড়ানোর সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে। নিষিদ্ধ ট্রলিং বোট নিয়ে বিপাকে পড়ছে মৎস্য বিভাগও।
আশার আলো মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নিজাম শেখ বলেন, ‘নিষিদ্ধ ট্রলিং বোটের চিকন ফাঁসের জালে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ ধরা পড়ায় সাগরে মাছসংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে চলতি মৌসুমে সাগরে তেমন একটা মাছ ধরা পড়ছে না। এতে জেলে থেকে শুরু করে এই শিল্পে জড়িত সবাই লোকসানের মুখে। আমরা দ্রুত এই নিষিদ্ধ ট্রলিং বোট বন্ধ চাই।’
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধ ট্রলিং বোটমালিকের একটি অংশ মাছ ধরার জন্য উচ্চ আদালত থেকে একটি রিট দায়ের করেছে। ফলে আইনের কারণে আমরা কিছু করতে পারছি না। তদুপরিও এসব ট্রলিং বোটে অবৈধ জাল ও মাছ রয়েছে কি না, তার জন্য অভিযান চালাই। এ ছাড়া যেসব মালিক রিট করেনি, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।’