শিরোনাম
হবিগঞ্জে ফেনসিডিলের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে হিন্দুপল্লিতে ভাঙচুর, ঠেকাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশওগ্রেপ্তার ৯ শিশুর বিষয়ে তদন্তের নির্দেশরাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে মতানৈক্য, ৩১ জুলাইয়ের আগেই সিদ্ধান্ত জানাবে কমিশনজুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা যেতে পারে: আখতার হোসেনমাদারগঞ্জ মডেল থানার সেই এসআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুচালককে মারধরের জেরে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বাস চলাচল বন্ধশেরপুরে বিএনপির সদর উপজেলা ও শহর কমিটি ঘোষণাসিঙ্গিয়া স্টেশনের সব ফ্যান খুলে নিয়ে গেল রেলওয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ, দুর্ভোগে যাত্রী-কর্মীরাচামুরখানে ডিএনসিসির নতুন কবরস্থান উদ্বোধন

ইছামতীর ভাঙনে হুমকির মুখে স্কুল

ইছামতীর ভাঙনে হুমকির মুখে স্কুল

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ইছামতী নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে নলবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়। স্কুল ভবন থেকে এখন মাত্র ৩ থেকে ৭ ফুট দূরে নদীর ভাঙন হচ্ছে। দ্রুত নদী শাসনের মাধ্যমে স্কুলটি রক্ষার দাবি জানিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।

উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের নলবাড়ী গ্রামের ক্যাম্পেরহাট এলাকায় নলবাড়ী স্কুলটি ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে স্কুলটিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী ও ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে।

আজ রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ইছামতী নদীর তীরে গড়ে তোলা স্কুলটিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে পড়ালেখা করছে। স্কুলের সামনে খেলার মাঠ। মাঠের পশ্চিম পাশে একতলা ভবনের পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ, একটি কমন রুম, টিনশেডের একটি লাইব্রেরি ও দুটি ব্যবহারিক শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। এসব কক্ষের ঠিক পেছনেই নদীভাঙন হচ্ছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।

এলাকাবাসী জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ইছামতী নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। বিশেষ করে, নদীর পানি বেড়ে গেলে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ে। গত ছয় থেকে সাত বছর ধরে এই ভাঙন ক্রমাগতভাবে বাড়ছে।

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আর্নিকা আকতার বলে, ‘নদীভাঙনের ফলে প্রতিদিন ক্লাস করতে গিয়ে ভয় লাগে। জানি না কখন নদী ভেঙে ভবনটা নিয়ে যাবে। আমরা স্বস্তিতে পড়াশোনা করতে চাই।’ স্থানীয় বাসিন্দা মিম শাহ বলেন, নদীভাঙনে যদি স্কুল ভবন ধসে পড়ে, তাহলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চরমভাবে ব্যাহত হবে। তাই ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে স্কুলটি রক্ষা করা জরুরি।

স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রশিদা বানু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিবছরই বর্ষায় নদীভাঙনের মুখে পড়ি। তবে এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নদীভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। সরেজমিন পরিদর্শনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে লিখিতভাবে জানানো হবে, যাতে দ্রুত ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button