গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় আরও একটি হত্যা মামলা


গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় আরও একটি হত্যা মামলা
গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ০০: ৫৪
গোপালগঞ্জে কারফিউ চলাকালে সেনাবাহিনীর টহল। ছবি: সরদার রনি
গোপালগঞ্জে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে রিকশাচালক রমজান মুন্সি নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) গোপালগঞ্জ সদর থানায় নিহত রমজান মুন্সির বড় ভাই জামাল মুন্সি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হলেও কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেননি তিনি।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ১৬ জুলাই এনসিপির সমাবেশ ঘিরে গোপালগঞ্জ শহরে যানজট ছিল। তাই রিকশাচালক রমজান মুন্সি (৩২) ব্যাটারিচালিত রিকশা গ্যারেজে রেখে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পরে শহরের লঞ্চঘাটের সামনে এসে দাঁড়ান। সেখানে অজ্ঞাতনামা কয়েক হাজার লোক লাঠিসোঁটা, ঢাল-সড়কি, রামদা, টেঁটাসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে মিছিল করতে করতে এনসিপির পৌরপার্কের সমাবেশস্থলের দিকে দৌড়ে যেতে থাকেন। লোকজন লঞ্চঘাট এলাকার দোকানপাট ভাঙচুর ও পুলিশ বক্সে আগুন দেয়। এ সময় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিলে তারাও ধাওয়া দিয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে।
একপর্যায়ে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা যৌথ বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। যৌথ বাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় রমজান চৌরঙ্গী সিনেমা হলের গলিতে অবস্থান নেন। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে সিনেমা হলের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় রমজানের ডান পাঁজরে গুলি লাগে। সেখানে তিনি লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমজান মুন্সি ১৭ জুলাই দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে মারা যান।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১৬ জুলাই এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ চলাকালে রমজান মুন্সি নিহতের ঘটনায় তাঁর বড় ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।