শিরোনাম
শাকিবের ‘তাণ্ডব’ এবার আসছে ওটিটিতে২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় আবুল বারকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদকপুরোনো গাড়ির মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি‘প্রথমেই দেখি এক শিশুর ছিন্নভিন্ন দেহ’, এক শিক্ষার্থীর বয়ানে মাইলস্টোনের বিভীষিকাড. ইউনূসের মানহানি মামলা খারিজের রায় বহালদেশে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর মুনাফায় ধসজোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে কুতুবদিয়ার বিভিন্ন এলাকাঢাকার মাদ্রাসা-ই-আলিয়ায় অস্থায়ী আদালত অপসারণ ও হলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদনাগরিক সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পাথরঘাটা পৌরসভা ঘেরাওপ্রথম শতভাগ কার্যকর এইচআইভির ওষুধ, অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র

নিয়োগ-বাণিজ্যের টাকা উদ্ধারের নামে আত্মসাতের অভিযোগ চবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে

নিয়োগ-বাণিজ্যের টাকা উদ্ধারের নামে আত্মসাতের অভিযোগ চবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে

চাকরি দেওয়ার নাম করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫৮ লাখ টাকা নিলেও চাকরি দিতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের নিম্নমান সহকারী মো. এমরান হোসেন। এই অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সেই এমরান হোসেনের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের আশ্বাস দিয়ে এবার তিন লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল কর্মী আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে। তিনি চবি ছাত্রদল সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিনের অনুসারী বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাবিনা ইয়াসমিন এ অভিযোগ করে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়, চাকরির টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়ে আহসান হাবিব তাঁর কাছ থেকে ১৫ লাখ ও ৩ লাখ টাকার দুটি চেক নেন। পরে ১৫ লাখ টাকার চেকটি ফেরত দিলেও ৩ লাখ টাকার চেক আর ফেরত দেননি। বরং সময়ক্ষেপণ ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেছেন সাবিনা।

সূত্র জানায়, আহসান হাবিবের উপস্থিতিতে চবি ছাত্রদল সভাপতি মহসিন এই ঘটনায় মধ্যস্থতা করেন এবং একপর্যায়ে এমরানের পক্ষ নেন। সাবেক উপাচার্য শিরীণ আখতারের সময় এমরান অন্তত ১৫ জন চাকরিপ্রার্থী থেকে মোট ৫৮ লাখ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কাজে সমন্বয় করেছেন অভিযোগকারী বাংলা বিভাগের ওই শিক্ষার্থী।

এ ব্যাপারে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘হাবিব টাকা ফেরত দেবে বলে হাটহাজারীর হোটেল জামানের চতুর্থ তলায় নিয়ে যায় আমাকে। সেখানে এমরানের পক্ষ হয়ে আসেন সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন। তার সঙ্গে ছিল ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিনসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। আমাকে ১৫ লাখ টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জোর-জবরদস্তি করে। হাবিব বলে আমার পাওনা টাকা ৩ ভাগে ভাগ হবে। এক ভাগ আমি পাব, বাকি অংশ অন্যদের মাঝে ভাগ হবে। আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি হইনি। হাবিব টাকা উদ্ধার করবে বলে দুটো চেক নিলেও ৩ লাখ টাকার চেক আমাকে ফেরত দেয়নি।’

তবে আহসান হাবিব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাবিনা ও এমরান একটি চক্রের অংশ। টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তাঁদের নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও দাবি করেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার সামাজিক সম্মান ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের গৌরব নষ্ট করার জন্য তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সাবিনা ইয়াসমিন তার ভাই ও তার পিতা এলাকার চিহ্নিত আওয়ামী দোসর হিসেবে পরিচিত। তারা আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে সে সময় ব্যাপক নিয়োগ-বাণিজ্য করেছে এবং সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর শাখা থেকে মালামাল চুরির দায়ে তাকে বরখাস্তও করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, ‘আমরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলে বোর্ড অব হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারিতে বিষয়টি তোলা হবে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button