শিরোনাম
শাকিবের ‘তাণ্ডব’ এবার আসছে ওটিটিতে২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় আবুল বারকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদকপুরোনো গাড়ির মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি‘প্রথমেই দেখি এক শিশুর ছিন্নভিন্ন দেহ’, এক শিক্ষার্থীর বয়ানে মাইলস্টোনের বিভীষিকাড. ইউনূসের মানহানি মামলা খারিজের রায় বহালদেশে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর মুনাফায় ধসজোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে কুতুবদিয়ার বিভিন্ন এলাকাঢাকার মাদ্রাসা-ই-আলিয়ায় অস্থায়ী আদালত অপসারণ ও হলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদনাগরিক সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পাথরঘাটা পৌরসভা ঘেরাওপ্রথম শতভাগ কার্যকর এইচআইভির ওষুধ, অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র

থানার পাশের পুকুরে যুবকের লাশ: পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও

থানার পাশের পুকুরে যুবকের লাশ: পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও

গাইবান্ধার সাঘাটায় থানার পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া যুবক সিজু মিয়ার (২৫) মৃত্যুকে ‘পুলিশি হত্যা’ দাবি করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে তাঁর পরিবার ও এলাকাবাসী। আজ শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন হয়। পরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষুব্ধরা কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান নেয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন নিহত সিজু মিয়ার মা মোছা. রিক্তা বেগম, বড় বোন খুশি বেগম, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফেরদৌস সরকার রুম্মান, স্থানীয় ইউপি সদস্য রমজান আলী, মো. আরিফুর রহমান, কবির হোসেনসহ অনেকে।

তাঁদের অভিযোগ, কয়েক দিন আগে পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সিজুর বিরোধ তৈরি হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থানায় ডেকে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু ঘটে। বক্তারা বলেন, ‘সিজু সাঁতার জানত। সে পালানোর সময় পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মারা যায়নি। পুলিশই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।’ এই হত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচার ও সাঘাটা থানার ওসিকে অব্যাহতি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

ইউপি সদস্য রমজান আলী বলেন, ‘১২ ঘণ্টা পানির নিচে থাকলে পোশাক ও কাগজপত্র ভিজে যাওয়ার কথা। অথচ সিজুর পকেটে থাকা প্রশিক্ষণকেন্দ্রের প্রবেশপত্র ছিল একদম শুকনো। এটা প্রমাণ করে হত্যার নাটক সাজিয়েছে পুলিশ।’

বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষুব্ধরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান নেয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষুব্ধরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান নেয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা সরে যায়।

এদিকে পুলিশ দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সাঘাটা থানায় ঢুকে এএসআই মহসিন আলীকে ছুরিকাঘাত করে সিজু মিয়া পুকুরে ঝাঁপ দেন। পরদিন সকালে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সিজু মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তবে তাঁর পরিবার তা অস্বীকার করেছে।

নিহত সিজু মিয়া গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের দুলাল মিয়ার ছেলে।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button