জুমার দিন মুমিনের পাঁচ করণীয়


সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল—
১. গোসল ও পরিচ্ছন্নতা: জুমার দিনে গোসল করা, পরিচ্ছন্ন পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা এবং চুল-নখ পরিচর্যা করা—সবই এই দিনের আদর্শ প্রস্তুতির অংশ।
২. জুমার নামাজের প্রস্তুতি: জুমার নামাজ ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এ জন্য সময়মতো মসজিদে যাওয়া, ইমামের খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা, অহেতুক কথা না বলা—এসব বিষয়ে যত্নশীল হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে, সুন্দরভাবে প্রস্তুতি নেয়, মসজিদে প্রথম দিকে আসে এবং ইমামের খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনে, তার আগের জুমা থেকে বর্তমান জুমা পর্যন্ত (সগিরা) গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’ (সহিহ্ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম)
৩. সুরা কাহাফ পাঠ: হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুরা কাহাফ পাঠ করে, তার দুই জুমার মাঝখানে এক নুর উদিত হয়।’ (মুসতাদরাকে হাকেম)
৪. বেশি বেশি দোয়া ও দরুদ: জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যখন বান্দা যেকোনো দোয়া করলে তা কবুল হয়। (সহিহ্ মুসলিম)। তাই এই দিন দোয়া এবং রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠে অতিবাহিত করা উচিত।
৫. নফল নামাজ ও কোরআন তিলাওয়াত: জুমার দিন অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি সময় নিয়ে কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ আদায় এবং আত্মশুদ্ধি চর্চা করা উত্তম।
জুমার দিন শুধু একটি ছুটির দিন নয়—বরং এটা আত্মার পাথেয় সংগ্রহের দিন, গুনাহ মোচনের দিন, ইবাদতে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। আমরা যদি এই দিনের ফজিলত বুঝে তা যথাযথভাবে পালন করি, তাহলে তা আমাদের ইহকাল ও পরকালের সফলতার পথে সহায়ক হবে।