শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের ‘তামাশা’ দেখে ক্ষুব্ধ চেলসি কোচ

যুক্তরাষ্ট্রের ‘তামাশা’ দেখে ক্ষুব্ধ চেলসি কোচ

ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাজে আবহাওয়ার কারণে বারবার ম্যাচ স্থগিত করতে হচ্ছে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় খেপেছেন চেলসি কোচ এনজো মারেস্কা। তাঁর মতে এমন টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যথার্থ জায়গা নয়।

শার্লটের ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে গত রাতে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর বেনফিকা-চেলসি ম্যাচ বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে ঝড় ও বজ্রপাতের শঙ্কায় খেলা বন্ধ করেন রেফারি স্লাভকো ভিনিচ। গ্যালারিতে থাকা ২৫,৯২৯ দর্শকের অনেকেই মাঠ ছেড়ে চলে যান। স্টেডিয়াম এলাকায় বজ্রপাত না হলেও আশপাশের আবহাওয়া প্রতিকূল ছিল বলে রেফারি দেরিতে খেলা শুরু করেন। দুই দলের খেলোয়াড়েরা যখন মাঠে ফেরেন, ততক্ষণে প্রায় ২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। শেষমেশ খেলা শেষ করতে লেগেছে ৫ ঘণ্টা।

বৈরি আবহাওয়ায় বেনফিকার বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হতে দেরি হওয়ায় খেপেছেন চেলসি কোচ মারেস্কা। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের কোচ বলেন, ‘৮৫ মিনিট পর্যন্ত আমাদের হাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল। বিরতির পর ম্যাচ হঠাৎ করে বদলে যায়। আমার কাছে এটা ফুটবল নয়। এরই মধ্যে ৭,৮, ৯ ম্যাচ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আমার কাছে সত্যি বলতে এটা তামাশা। এটা ফুটবল না। এটা আমাদের জন্য না।’

এখন পর্যন্ত ক্লাব বিশ্বকাপের ছয় ম্যাচ ঝড়ের কারণে বাধার মুখে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে হয়েছে এই ম্যাচগুলো। এছাড়া উত্তর ও মধ্য যুক্তরাষ্ট্রে খেলার সময় দলগুলোর গরম আবহাওয়ার কথা ভাবতে হচ্ছে। আবহাওয়া যখন বারবার ম্যাচে বাধার সৃষ্টি করে, তাহলে সেখানে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা ঠিক বলে মনে করেন না মারেস্কা। চেলসি কোচ বলেন, ‘ব্যাপারটা বুঝতে আমার সত্যি কষ্ট হচ্ছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে ম্যাচ স্থগিত হওয়ার একটা কারণ হতে পারে। কিন্তু যদি আপনি সাত-আটটা ম্যাচ স্থগিত করে দেন, তাহলে বুঝতে হবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য এটা (যুক্তরাষ্ট্র) যথার্থ জায়গা নয়।’

ক্লাব বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে বারবার ম্যাচ স্থগিত হওয়াটা ভালো মনে করছেন না মারেস্কা। চেলসি কোচ বলেন, ‘ম্যাচ স্থগিত করা স্বাভাবিক কিছু নয়। একটা বিশ্বকাপে কতবার ম্যাচ স্থগিতের ঘটনা হয়েছে? সম্ভবত একবারও হয়নি। ইউরোপে একবারও হয়নি। আমরা এখানে দুই সপ্তাহের মধ্যে ছয়-সাতবার দেখেছি। এখানে কিছু সমস্যা আছে বলে আমি মনে করি।’

বেনফিকা-চেলসি ম্যাচ প্রথমার্ধে গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়। ৬৪ মিনিটে ম্যাচে প্রথম গোল করেন চেলসি ডিফেন্ডার রিস জেমস। ম্যাচে শেষ বাঁশি বাজা যখন সময়ের অপেক্ষা, তখনই জমে ওঠে খেলা। ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতাসূচক গোল করেন বেনফিকা ফরোয়ার্ড আনহেল দি মারিয়া। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর পর প্রথম ১৫ মিনিটে চেলসি-বেনফিকার কেউ গোল করতে পারেননি। তবে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে ১০৮ মিনিটে ক্রিস্টোফার এনকুকু, ১১৪ মিনিতে পেদ্রো নেতো ও ১১৭ মিনিটে কিয়ারনান ডেওসবারি-হল—চেলসির এই তিন ফুটবলার গোল করেছেন। ম্যাচে শেষ পর্যন্ত বেনফিকাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দেয় চেলসি।

লিংকন ফিনান্সিয়াল ফিল্ড স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর অপর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে পালমেইরাস-বোতাফোগো। ১০০ মিনিটে পলিনহোর গোলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পালমেইরাস। কোয়ার্টার ফাইনালে এখন চেলসির প্রতিপক্ষ পালমেইরাস। লিংকন ফিনান্সিয়াল ফিল্ড স্টেডিয়ামে ৫ জুলাই বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় শেষ আটে মুখোমুখি হবে চেলসি-পালমেইরাস।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button