শিরোনাম
ন্যায় ও মানবাধিকারের অনন্য দৃষ্টান্তবরিশাল বিভাগের প্রথম অর্থনৈতিক অঞ্চল ভোলায়, এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের আশাবরিশাল পোর্ড রোড ঘাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের ★প্র*তি*বা*দে★ ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ীদের ★বি*ক্ষো*ভ★ইবিতে সাজিদ হত্যা: খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভচীন প্লাস্টিক খাতে ডাম্পিং করলে অবশ্যই অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ করা হবে: বাণিজ্যসচিবনির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা কাল: ইসি সচিবফটোশপের প্রতিদ্বন্দ্বী এআই এডিটিং মডেল আনল গুগলচিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত নাগরিকঅশ্বিন কি এবার বিপিএলে খেলতে পারবেনবরখাস্ত শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

অ্যান্ড্রয়েডে থার্ড পার্টি অ্যাপ ইনস্টল কঠিন হচ্ছে

অ্যান্ড্রয়েডে থার্ড পার্টি অ্যাপ ইনস্টল কঠিন হচ্ছে

অ্যান্ড্রয়েড ইকোসিস্টেমে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে যাচ্ছে গুগল। প্রতিষ্ঠানটি একটি নতুন যাচাইকরণ ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে, যার আওতায় শুধু গুগল প্লে স্টোরে প্রকাশিত নয়, বরং সব ধরনের অ্যাপ ডেভেলপারদের পরিচয় যাচাই করা হবে।

গুগলের মতে, বহুদিন ধরেই তৃতীয় পক্ষের উৎস থেকে ছড়ানো ক্ষতিকর অ্যাপ বড় সমস্যা হয়ে আছে। গুগলের তথ্য বলছে, প্লে স্টোরের বাইরে থেকে সাইডলোড করা অ্যাপগুলোর মধ্যে ম্যালওয়্যারের সম্ভাবনা ৫০ গুণ বেশি।

নতুন এই নীতির আওতায় যেসব ডেভেলপার তাঁদের অ্যাপকে অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে সচল রাখতে চান, তাঁদের একটি নতুন ‘অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার কনসোল’-এর মাধ্যমে যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

এই প্রক্রিয়ায় ডেভেলপারদের নিজেদের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে, অ্যাপের প্যাকেজ নাম রেজিস্টার করতে হবে এবং সাইনিং কি জমা দিতে হবে।

তবে প্লে স্টোরের মতো এই ব্যবস্থায় গুগল অ্যাপের কার্যকারিতা বা বিষয়বস্তু যাচাই করবে না। কেবল যাচাইকৃত অ্যাপগুলোই গুগল সার্টিফায়েড অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ইনস্টল করা যাবে। বিশ্বের প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসই গুগলের সেবাসমূহ বহন করে বলে এর প্রভাব হবে ব্যাপক।

নতুন এই সিস্টেমের পরীক্ষামূলক চালু শুরু হবে ২০২৫ সালের অক্টোবর থেকে। এরপর ২০২৬ সালের মার্চে বৈশ্বিক ডেভেলপারদের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে। প্রথম দফার রোলআউট হবে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে। ২০২৭ সালে এটি বিশ্বব্যাপী চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তবে চীনের মতো দেশ, যেখানে গুগল সেবা চলে না এবং ‘নন-গুগল’ অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ ব্যবহৃত হয়, সেখানে এই নীতির প্রভাব পড়বে না।

এই উদ্যোগ নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনাও শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, এটি গুগলের অ্যান্ড্রয়েডের ওপেন সিস্টেমকে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কৌশল, যা অ্যান্ড্রয়েডের মূল দর্শনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

তবে গুগলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এটি একটি বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে প্রতারণা ও ম্যালওয়্যার কমানো সম্ভব হবে।

বহু বছর ধরে অ্যান্ড্রয়েডের অন্যতম আকর্ষণ ছিল এর মুক্ত প্রকৃতি—সেখানে ব্যবহারকারীরা চাইলে সাইডলোড করতে পারতেন, তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ স্টোর ব্যবহার করতে পারতেন কিংবা কাস্টম রম ইনস্টল করতে পারতেন। অন্যদিকে অ্যাপল সব সময় একটি কঠোর নিয়ম মেনে চলে, যেখানে প্রতিটি অ্যাপকেই অ্যাপ স্টোরের যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

তবে সব মিলিয়ে এই পদক্ষেপ অ্যান্ড্রয়েডকে অনেকটাই আইওএসের মতো করে তুলছে, যেটি ভালো না খারাপ, তা একান্তই ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়।

তথ্যসূত্র: ইন্টেরেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button