শিরোনাম
৪৩ বছরে ক্র্যাব: শোভাযাত্রা, সভাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতাপাঠ্যবইয়ে আসছে বড় পরিবর্তন, কী কী থাকছে নতুন পাঠ্যক্রমেঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পে ডিএমটিসিএল ও ডিটিসিএর দ্বন্দ্ব: প্রকল্প জটিলতার শঙ্কাযুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, দুই নেতাকে বহিষ্কারগাজায় পুরোদমে দুর্ভিক্ষ শুরু: জাতিসংঘমার্কিন শুল্কে বিপদগ্রস্ত ভারতের পাশে দাঁড়াবে চীনসুদের টাকা না দেওয়ায় ঘরে তালা, ৮ দিন ধরে বাইরে রিকশাচালকের পরিবারচলন্ত বাসে হাত-পা বেঁধে কুবি ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, মহাসড়ক অবরোধগাজার ২ হাজার মানুষকে চিকিৎসা দিতে চেয়ে কেন বিতর্কের মুখে ইন্দোনেশিয়ানেড়ি কুকুর নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলালেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

গাজার ২ হাজার মানুষকে চিকিৎসা দিতে চেয়ে কেন বিতর্কের মুখে ইন্দোনেশিয়া

গাজার ২ হাজার মানুষকে চিকিৎসা দিতে চেয়ে কেন বিতর্কের মুখে ইন্দোনেশিয়া

গাজায় আহত প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ইন্দোনেশিয়া। প্রস্তাব অনুযায়ী তাঁদের অস্থায়ীভাবে নিয়ে যাওয়া হতে পারে জনশূন্য গালাং দ্বীপে। সিঙ্গাপুরের দক্ষিণে অবস্থিত এই দ্বীপটি অতীতে শরণার্থীশিবির এবং সাম্প্রতিক সময়ে মহামারি হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার (২২ আগস্ট) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে লজিস্টিকস, আইনি কাঠামো এবং বৈদেশিক নীতির প্রভাব নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক চলছে। তবে প্রস্তাবটি নিয়ে দেশটির ভেতর ও বাইরে সমালোচনা উঠেছে।

সমালোচকেরা দাবি করছেন, আহত ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে তা তাঁদের স্বাধীনতার অধিকারের পরিপন্থী হতে পারে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এই উদ্যোগকে ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত করার কৌশল হিসেবে ব্যাখ্যা করা হতে পারে।

ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা অবশ্য জোর দিয়ে বলেছেন—এটি শুধু অস্থায়ী মানবিক সহায়তা। পরিকল্পনাটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে পরিচালিত হবে এবং ফিলিস্তিনিদের ফিরে যাওয়ার অধিকারকে সম্মান জানানো হবে।

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক ও আফ্রিকা বিষয়ক মহাপরিচালক আবদুল কাদির জিলানি বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যেন এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয় এবং ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তনের অধিকার অক্ষুণ্ন থাকে।’

গালাং দ্বীপ ছাড়াও পশ্চিম জাভা ও মধ্য জাভার কিছু স্থানে বিকল্প সুবিধা বিবেচনায় রাখা হয়েছে। কারণ সেসব এলাকায় বড় হাসপাতাল ও পরিবহন সুবিধা কাছাকাছি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত দূর থেকে আহত রোগীদের নিয়ে আসা ঝুঁকিপূর্ণ ও অকার্যকর হতে পারে। তাঁদের মতে, নিকটবর্তী আরব দেশগুলোতে চিকিৎসা দেওয়াই বেশি বাস্তবসম্মত।

সমালোচকদের মধ্যে কেউ কেউ এই পরিকল্পনাকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের রাজনৈতিক প্রভাব হিসেবে দেখছেন। তাঁদের মতে, এতে ইন্দোনেশিয়া অনিচ্ছাকৃতভাবে ‘জাতিগত নির্মূলের’ সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে পারে। আবার অনেক মানবাধিকারকর্মী মনে করছেন, ইন্দোনেশিয়ার উচিত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও দৃঢ় অবস্থান নেওয়া, শুধুমাত্র চিকিৎসা সহায়তায় সীমাবদ্ধ না থেকে।

এদিকে ইন্দোনেশিয়া ৮০ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গাজায় বিমানযোগে ১৮ টন খাদ্য, ওষুধ ও কম্বল পাঠিয়েছে এবং মোট ৮০০ টন সহায়তা পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।

সার্বিকভাবে, মানবিক সহায়তার উদ্দেশ্য থাকার পরও পরিকল্পনাটি রাজনৈতিকভাবে জটিল ও সংবেদনশীল। ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতির আশঙ্কা এবং আঞ্চলিক কূটনৈতিক প্রভাবের কারণে ইন্দোনেশিয়ার সরকার এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button