শিরোনাম
৪৩ বছরে ক্র্যাব: শোভাযাত্রা, সভাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতাপাঠ্যবইয়ে আসছে বড় পরিবর্তন, কী কী থাকছে নতুন পাঠ্যক্রমেঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পে ডিএমটিসিএল ও ডিটিসিএর দ্বন্দ্ব: প্রকল্প জটিলতার শঙ্কাযুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, দুই নেতাকে বহিষ্কারগাজায় পুরোদমে দুর্ভিক্ষ শুরু: জাতিসংঘমার্কিন শুল্কে বিপদগ্রস্ত ভারতের পাশে দাঁড়াবে চীনসুদের টাকা না দেওয়ায় ঘরে তালা, ৮ দিন ধরে বাইরে রিকশাচালকের পরিবারচলন্ত বাসে হাত-পা বেঁধে কুবি ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, মহাসড়ক অবরোধগাজার ২ হাজার মানুষকে চিকিৎসা দিতে চেয়ে কেন বিতর্কের মুখে ইন্দোনেশিয়ানেড়ি কুকুর নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলালেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

নেড়ি কুকুর নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলালেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

নেড়ি কুকুর নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলালেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি ও আশপাশের এলাকার প্রায় ১০ লাখ নেড়ি কুকুর বা পথ-কুকুরকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর পূর্বের আদেশ স্থগিত করেছেন। প্রাণী অধিকারকর্মীদের তীব্র প্রতিবাদের পর আদালত জানিয়েছেন, যে কুকুরগুলোকে নির্বীজকরণ ও টিকা দেওয়া হবে, তারা আগের স্থানে ফেরত যেতে পারবে। তবে জলাতঙ্ক আক্রান্ত বা আক্রমণাত্মক কুকুরদের টিকা দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে।

বিবিসি জানিয়েছে, আজ শুক্রবার (২২ আগস্ট) দেওয়া রায়ে আরও বলা হয়েছে, জনসমক্ষে পথ-কুকুরকে খাওয়ানো নিষিদ্ধ থাকবে। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে দিতে হবে। পাশাপাশি যে কেউ চাইলে পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পথ-কুকুর দত্তক নিতে পারবে। তবে দত্তক নেওয়া কুকুরকে আবারও রাস্তায় ফেরত পাঠানো যাবে না।

এর আগে, গত ১১ আগস্ট ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ দিল্লি ও আশপাশে কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক ছড়ানোর আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। তখন আদালত নির্দেশ দিয়েছিলেন—সব পথ-কুকুরকে আট সপ্তাহের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করতে হবে।

কিন্তু ওই আদেশ বিদ্যমান নিয়মের পরিপন্থী ছিল। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, নির্বীজকরণ শেষে কুকুরকে যে স্থান থেকে ধরা হয়েছে, সেখানেই ছেড়ে দিতে হয়। ফলে প্রাণী কল্যাণ সংগঠনগুলো মানবিক সমাধান হিসেবে টিকাদান ও নির্বীজকরণের ওপর জোর দিয়ে আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও আইনি লড়াই শুরু করে।

প্রাণী অধিকারকর্মীদের আশঙ্কা ছিল, সব কুকুরকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠালে সেখানে অতি ভিড় তৈরি হবে এবং হত্যার ঝুঁকিও বাড়বে। এসব যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করেন।

নতুন রায়কে প্রাণী কল্যাণ সংগঠনগুলো স্বাগত জানিয়েছে। ‘হিউম্যান ওয়ার্ল্ড ফর অ্যানিমেলস ইন্ডিয়া’-এর পরিচালক আলোকপর্ণা সেনগুপ্তা একে ‘ভারসাম্যপূর্ণ, সংগঠিত ও সহানুভূতিশীল’ রায় হিসেবে অভিহিত করেছেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘আক্রমণাত্মক কুকুর’ চিহ্নিত করার জন্য বৈজ্ঞানিক তথ্যভিত্তিক স্পষ্ট মানদণ্ড তৈরি করতে হবে, যাতে ব্যক্তিগত পক্ষপাত বা অযৌক্তিক কারণে কোনো কুকুর বন্দী না হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী জলাতঙ্কে মৃত্যুর ৩৬ শতাংশই ভারতে ঘটে। দেশটিতে লাখ লাখ পথ-কুকুর রয়েছে। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজ্যে এ-সংক্রান্ত মামলাগুলো বিবেচনা করে একটি জাতীয় নীতি প্রণয়ন করা হবে।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button