শিরোনাম
রামপুরায় তেলের লরির ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যুইসলাম যাদের ভালোবাসতে উৎসাহিত করেছেইসরায়েলি এমপিকে দেশে ঢুকতে না দিয়ে অস্ট্রেলিয়া বলল, ‘তোমাকে এখানে চাই না’রিয়াদসহ ৬ অঞ্চলে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের প্রক্রিয়া শুরু করছে সৌদি আরবজাতীয় মানমাত্রার তিনগুণের বেশি বায়ু দূষণ, সাভার উপজেলাকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণালজ্জাজনক হারের পর নেইমারদের কোচ বরখাস্ত, লজ্জিত নেইমারওপ্রবাসীর জমি দখলে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে মারধর, হামলাকারীরা বিএনপির সঙ্গে যুক্তচট্টগ্রামে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানে পিকআপের ধাক্কা, নিহত ৫বন্ধুদের খাওয়াতে ৭০ হাজার ললিপপ অর্ডার ৮ বছরের শিশুরঅদম্য নারীর স্বপ্নজয়: প্রতিকূল আবহাওয়াতেও নেপচুনে কর্মচাঞ্চল্য

বন্ধুদের খাওয়াতে ৭০ হাজার ললিপপ অর্ডার ৮ বছরের শিশুর

বন্ধুদের খাওয়াতে ৭০ হাজার ললিপপ অর্ডার ৮ বছরের শিশুর

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে ঘটেছে এক আজব ও মজার ঘটনা। মা-ছেলের কাণ্ডকারখানা এলাকাটিতে রীতিমতো হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে। স্থানীয় নারী হলি লাফেভার্স এক সকালে দেখলেন, তাঁর বারান্দা ভর্তি ললিপপের বাক্স। ছোটখাটো দোকানের মতো অবস্থা। কিন্তু এই অর্ডার তিনি নিজে দেননি। কে দিয়েছে? মায়ের ফোনে খেলে বেড়ানো তাঁর ৮ বছরের ছেলে লিয়াম! আর এসব ললিপপের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ লাখ টাকা।

মায়ের ভাষায়, লিয়ামের মাথায় না কি দারুণ এক আইডিয়া এসেছিল—নিজে একটা কার্নিভ্যাল করবে। আর সেই কার্নিভ্যালে অংশ নেওয়া বন্ধুরা যাতে পুরস্কার পায়, সে জন্যই একেবারে হাজার হাজার ললিপপ কিনে ফেলল সে। লাফেভার্স পরে জানান, ছেলের উদ্দেশ্য আসলে খারাপ ছিল না, বরং দারুণ উদার ছিল। তবে ‘উদারতার’ খেসারতটা দিতে হচ্ছিল তাঁকেই।

কারণ, আমাজনে দেওয়া ওই অর্ডারে ছিল প্রায় ৭০ হাজার ‘ডাম-ডাম’ ললিপপ। এর মধ্যে ২২ বাক্স এসে পৌঁছাল সরাসরি বাড়ির দরজায়। আর সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চেক করে লাফেভার্সের মাথা ঘুরে গেল। একেবারে ৪ হাজার ডলারের বিল! বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার মতো। তিনি বলেন, ‘সংখ্যাটা দেখে আমি প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম।’

তবে বিপদ তখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। পরে জানা গেল, আরও ৮ বাক্স কোথাও আটকে আছে। শেষ পর্যন্ত পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা গেল, সেগুলো ফেরত পাঠানো হয়েছে।

বাড়ির সামনে হাজির ললিপপের বাক্স। ছবি: সংগৃহীত
বাড়ির সামনে হাজির ললিপপের বাক্স। ছবি: সংগৃহীত

এত কাণ্ডের পর শুরু হলো রিফান্ডের লড়াই। ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ, খোঁজখবর, এমনকি কয়েকটা টিভি চ্যানেলে বিষয়টা আলোচনায় আসার পর অবশেষে আমাজন থেকে ফোন আসে। তাঁরা জানায়, টাকা ফেরত দেওয়া হবে। লাফেভার্সও স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।

এই ঘটনার পর তিনি ফোনের সেটিংস বদলে ফেলেছেন, যেন ভবিষ্যতে আর কোনো ‘কার্নিভ্যাল প্রজেক্ট’ গোপনে শুরু না হয়ে যায়।

এখন প্রশ্ন হলো—লিয়ামের স্বপ্নের কার্নিভ্যাল কি আর হবে? নাকি আপাতত কেবল মায়ের কড়া নজরদারির মধ্যেই থাকতে হবে তাকে? তবে যেটাই হোক, লিয়ামের এই মিষ্টি ‘কাণ্ডকারখানা’ আপাতত গোটা এলাকায় মজার আলোচনায় পরিণত হয়েছে।

তথ্যসূত্র: এপি


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button