শিরোনাম
বরিশালে শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, যান চলাচল বন্ধ‘ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকদের কৌটা দুধের বাণিজ্যে বাড়ছে নবজাতক মৃত্যুর হার’প্লট–ফ্ল্যাট বরাদ্দে সচিব, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ যাঁদের কোটা বাতিলনেত্রকোনায় শিশুকে লাঠি দিয়ে পেটালেন ইউএনও, ভিডিও ভাইরালচোখের চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেলেন মির্জা ফখরুলআজও দেরিতে ছাড়ছে বিমানের ৪টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটকাতার চ্যারিটিতে নিয়োগ, এনজিওতে কাজে আগ্রহীদের জন্য দারুণ সুযোগভারতে আটক একই পরিবারের ৫ জনকে ফেরত পাঠাল বিএসএফচট্টগ্রাম কাস্টমসের রাসায়নিক ল্যাব পরিদর্শনে বিএনএসিডব্লিউসির বিশেষজ্ঞ দলফ্যাক্টচেক /অরকার আক্রমণে তরুণী প্রশিক্ষকের মৃত্যু, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে যা জানা গেল

রিটার্ন না দিলে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

রিটার্ন না দিলে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিষেবার সংযোগ কেটে দেওয়ার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। নতুন আয়কর আইনে কর কর্মকর্তাদের এ ক্ষমতা দেওয়া আছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর নির্দেশিকায় এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

নতুন আয়কর নির্দেশিকায় বলা হয়, রিটার্ন জমা না দিলে করদাতা পাঁচ ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে পারেন। এগুলো হচ্ছে আয়কর আইনের ২৬৬ ধারা অনুযায়ী জরিমানা; ১৭৪ ধারা অনুসারে কর অব্যাহতির ক্ষেত্র সংকোচন; মাসিক ২ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর পরিশোধের বাধ্যবাধকতা; ইউটিলিটি (গ্যাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি পরিষেবা) সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং বেতন-ভাতা বা ভাতা সুবিধা প্রাপ্তিতে জটিলতা।

এনবিআরের আয়কর বিভাগের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চাই করদাতারা স্বেচ্ছায় রিটার্ন দাখিল করুক। তবে যারা বারবার অবহেলা করবে, তাদের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।’

তবে এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা কর ফাঁকি কমাতে এবং কর নেট সম্প্রসারণে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য শাস্তি দেওয়া নয়; বরং সবাইকে আইন মেনে কর ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা। এ জন্য অনলাইন রিটার্ন দাখিলকে সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ করা হয়েছে। করদাতারা যেন হয়রানির শিকার না হন, সেটি নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কর বিশেষজ্ঞ ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট স্নেহাশিষ বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিষেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মতো কঠোর ব্যবস্থা বাংলাদেশে কার্যকর করতে হলে আইনের অপপ্রয়োগ যেন না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি করদাতাদের কর সচেতনতা, অনলাইন ব্যবস্থার সহজলভ্যতা এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা বাড়ানো জরুরি।

রিটার্ন দেবেন যাঁরা

আয়কর নির্দেশিকায় ৪৫ ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। তবে মোটাদাগে সেগুলোকে দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। তাঁরা হলেন যাঁদের বার্ষিক করযোগ্য আয় সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি এবং যাঁরা আইন অনুযায়ী রিটার্ন দাখিলে বাধ্য।

তা ছাড়া বর্তমানে ৩৯ ধরনের সেবা ও সুবিধা পেতে আয়কর রিটার্নের প্রমাণপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক; যেমন ব্যাংকঋণ, গাড়ি নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, সরকারি টেন্ডার ইত্যাদি।

এ বছর থেকে সব করদাতাকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তবে বিশেষ পাঁচ শ্রেণির করদাতাকে এই বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে দেশে ১ কোটি ১২ লাখ টিআইএনধারী আছেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে বছরে প্রায় ৪০ লাখ করদাতা রিটার্ন জমা দেন। গত অর্থবছরে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেন ১৭ লাখ করদাতা, যাঁদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ কোনো কর দেননি, যদিও তাঁরা রিটার্ন দিয়েছেন।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button