শিরোনাম

চলনবিল রক্ষায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তরের দাবি

চলনবিল রক্ষায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তরের দাবি

চলনবিল রক্ষায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বুড়ি পোতাজিয়ায় প্রস্তাবিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধিতা করেছেন চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের নেতারা। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিকল্প জায়গা খুঁজে বের করতে হবে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ১১টায় পাবনার চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, ‘আমরা চলনবিলের বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয় চাই না। আমরা যেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই, তেমনি চলনবিলও চাই।’

চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সদস্যসচিব ও বাপার কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এস এম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডা. এস এম আতিকুল আলম।

বক্তারা বলেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ বিল চলনবিলের সুবিধাভোগী মানুষের সংখ্যা এক কোটিরও বেশি। পদ্মা, আত্রাই, বড়াল, নন্দকুঁজা, গুমানীসহ সব নদী, বিল, খাল, ক্যানেল ও পুকুর থেকে পানির প্রবাহ এই বিলের প্রাণ। বিশাল জলরাশির এই পানি যমুনা নদীতে গিয়ে মিশে একমাত্র পথ বুড়ি পোতাজিয়া দিয়ে। অথচ এখানেই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বুড়ি পোতাজিয়ার কিছু অংশ ইতিমধ্যে বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে। গোহালা নদীর ওপর একটি ছোট স্লুইসগেট দিয়ে নদীর প্রবাহ সংকুচিত করা হয়েছে। পদ্মা, আত্রাই, বড়াল, নন্দকুঁজাসহ ৪৭টি নদী, ১৬৩টি বিল, ৩০০টির বেশি ক্যানেল ও লক্ষাধিক পুকুরের সমন্বয়ে গঠিত চলনবিলের পানি প্রবাহের এই একমাত্র মুখে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে জলাবদ্ধতা ও পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দেবে। এতে বাঘাবাড়ী নৌবন্দরও হুমকির মুখে পড়বে।

নেতারা আরও বলেন, চলনবিলে নানা সময় সরকারি ও বেসরকারি অপরিকল্পিত কর্মকাণ্ড এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অস্তিত্ব সংকট তৈরি হয়েছে। এখন যদি বুড়ি পোতাজিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়, তা হবে চলনবিল ধ্বংসের ‘শেষ পেরেক’। তাই অবিলম্বে বিকল্প স্থান নির্ধারণের দাবি জানানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান তাঁরা।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button