শিরোনাম
বরিশালে শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, যান চলাচল বন্ধ‘ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকদের কৌটা দুধের বাণিজ্যে বাড়ছে নবজাতক মৃত্যুর হার’প্লট–ফ্ল্যাট বরাদ্দে সচিব, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ যাঁদের কোটা বাতিলনেত্রকোনায় শিশুকে লাঠি দিয়ে পেটালেন ইউএনও, ভিডিও ভাইরালচোখের চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেলেন মির্জা ফখরুলআজও দেরিতে ছাড়ছে বিমানের ৪টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটকাতার চ্যারিটিতে নিয়োগ, এনজিওতে কাজে আগ্রহীদের জন্য দারুণ সুযোগভারতে আটক একই পরিবারের ৫ জনকে ফেরত পাঠাল বিএসএফচট্টগ্রাম কাস্টমসের রাসায়নিক ল্যাব পরিদর্শনে বিএনএসিডব্লিউসির বিশেষজ্ঞ দলফ্যাক্টচেক /অরকার আক্রমণে তরুণী প্রশিক্ষকের মৃত্যু, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে যা জানা গেল

মায়ের কথা বলে কাঁদলেন ছাগলকাণ্ডের মতিউর, আদালত বললেন ধৈর্য ধরতে

মায়ের কথা বলে কাঁদলেন ছাগলকাণ্ডের মতিউর, আদালত বললেন ধৈর্য ধরতে

আদালতে জামিন চেয়ে কেঁদেছেন ‎ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান। কিন্তু জামিন মেলেনি তাঁর।

আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেছেন। তবে আদালত মতিউরকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে করা মামলায় আসামি মতিউর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর পক্ষে মো. ওয়াহিদুজ্জামান জামিনের আবেদন করেন।

আইনজীবীর বক্তব্যের পর আসামি নিজে কিছু বলার অনুমতি চান। আদালত অনুমতি দিলে তিনি বলেন, ‘আমি কারাগার থেকে দুদককে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। আমি আপনাকে এ চিঠিটা দিলাম। আপনি দয়া করে চিঠিটা পড়ে যে আদেশ দেবেন, আমি তা মাথা পেতে নেব।’

তারপর মতিউর আবার বলেন, ‘আমার পরিবারটা ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি ও আমার স্ত্রী দুজনই কারাগারে। আমার মা প্যারালাইজড। তাঁকে দেখার কেউ নেই।’ এ কথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

পরে আবার বলেন, ‘আমাকে জামিন দিন। আমি নির্দোষ, সেটা আদালতে প্রমাণ করব।’ আদালত বলেন, ‘আপনি দোষী বা নির্দোষ, তা এখনই বলা যাবে না। মামলাটি তদন্তাধীন। তাই আপনাকে আরও ধৈর্য ধারণ করতে হবে।’ এরপর আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

গত বছরের ২ জুলাই মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠায় দুদক। এসব নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৯ আগস্ট মতিউর, তাঁর দুই স্ত্রী, ছেলেমেয়েসহ পাঁচজনের সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দেন। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি মামলা করে দুদক। আর ১৪ জানুয়ারি তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

উল্লেখ্য, কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকায় ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগল কেনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত নামের এক যুবক। এর পর থেকে তাঁর বিলাসী জীবনযাপনের নানা তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই ছাগলকাণ্ডের জেরে আলোচনায় আসেন ইফাতের বাবা এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান। তখন মতিউর রহমানের ছেলের দামি ঘড়ি, গাড়ি, বিলাসী জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলোবাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের তথ্য সামনে আসতে শুরু করে।

‎গত বছরের ৪ জুন তাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে কার্যক্রম শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানে মতিউর আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবার হিসাব ও শেয়ারবাজারের বিও হিসাব ক্রোক করা হয়। মতিউর, তাঁর প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button