রাবি ছাত্রদল সভাপতির বক্তব্যকে ‘উস্কানি ও ষড়যন্ত্রমূলক’ আখ্যা দিয়ে ছাত্রপক্ষের প্রতিবাদ


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন সামনে রেখে ছাত্রদল সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহীর বক্তব্যকে ‘উস্কানিমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলক’ আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা’। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে ছাত্রপক্ষের সংগঠক ইমরান ইমতিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিযোগ তোলে প্রতিবাদ জানানো হয়।
ছাত্রপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করে বলেন, ‘স্বৈরাচারপন্থী শিক্ষকদের পরিচয় প্রকাশের নামে চলমান আন্দোলনকে ব্যবহার করে রাকসু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে ছাত্রদল।’ ছাত্রদল সভাপতি রাহী এক বক্তব্যে বলেছেন, ‘রাকসু হতে হলে আমাদের রক্তের উপর দিয়ে যেতে হবে।’ এই বক্তব্যকে সহিংসতা উসকে দেওয়া মনে করছে ছাত্রপক্ষ। সংগঠনটি বলছে, “এ ধরনের হুমকিমূলক ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিপন্থী।”
সংগঠনটির দাবি, “জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এমন সহিংস ভাষার কোনো স্থান নেই।” রাহী একজন অনিয়মিত শিক্ষার্থী হয়েও উপাচার্য সম্পর্কে ‘অযাচিত ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করেছেন, যা প্রশাসনিক শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের শামিল।
এবিষয়ে ছাত্রপক্ষের রাবি শাখার আহ্বায়ক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, “মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকলেও তা যদি সহিংসতা উসকে দেয় বা গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত করে, তবে তার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া জরুরি।”
সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ মুনাওয়ার সিফাত বলেন, “উস্কানিমূলক বক্তব্যের যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে রাকসু নির্বাচন কোনো হুমকি বা বিশৃঙ্খলায় না পড়ে।”
তিনি বলেন, “আমরা চাই রাকসু নির্বাচন হোক সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক। গণতন্ত্রের পথে কোনো হুমকি, কোনো উগ্রতা বরদাশত করা হবে না।”
ছাত্রপক্ষের অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল রাবি শাখার সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, “আজকের কর্মসূচি ছিলো আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বিচারের দাবিতে। উপাচার্য রুয়া নির্বাচন নিয়ে যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন, তারই প্রতিক্রিয়ায় আমি এই বক্তব্য দিয়েছি। আমরা দেখেছি রুয়া নির্বাচনে কোনোরকম অংশগ্রহণ ছিল না, রাকসুও সে রকম আমরা চাই না। তাই বলেছি এমন ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচন দিতে হলে ছাত্রদলের রক্তের উপর দিয়ে দিতে হবে।”
রাহী আরও বলেন, “ছাত্রদল অবশ্যই রাকসু নির্বাচনের পক্ষে। সুষ্ঠু পরিবেশ এবং আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিলেই আমরা রাকসুতে অংশগ্রহণ করবো। নির্বাচন বানচালের কোন ইচ্ছা আমাদের নেই।”