ইট দিয়ে সংবাদকর্মীর পা থেঁতলে দেওয়ার ঘটনায় ১ জন গ্রেপ্তার


গাজীপুরে প্রকাশ্যে ইট দিয়ে একের পর এক আঘাত করে সংবাদকর্মীর পা থেঁতলে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ফরিদ (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে গাজীপুর সদর মেট্রো থানার কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে সদর মেট্রো থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ একটি মামলা করে।
হামলায় আহত ব্যক্তির নাম আনোয়ার হোসেন, তিনি দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি।
এদিকে ওই ঘটনার একটি ভিডিও গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, গাজীপুরের জয়দেবপুরে রেললাইনের উত্তর পাশে ফলের দোকানের সামনের রাস্তায় এক ব্যক্তিকে কয়েক যুবক মারতে মারতে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় কেউ এলোপাতাড়ি মারছে, লাঠি দিয়ে আঘাত করছে, কেউ লাথি মারছে। কিছুদূর টেনে নেওয়ার পর একজন ইট নিয়ে যাচ্ছে আঘাত করার জন্য।
একপর্যায়ে ইট দিয়ে কয়েকবার আঘাত করে তাঁর পা ও শরীর থেঁতলে দেয়। হামলাকারীরা নির্মমভাবে মারধর করে তাঁর বুকের ওপর উঠে লাফায়।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, এ সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও প্রথম দিকে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে ইট দিয়ে পা থেঁতলে দেওয়ার পর একজন পুলিশ সদস্যকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আনোয়ার হোসেনের পায়ে মারাত্মক জখম হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
জানতে চাইলে সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেনের মা আনোয়ারা বাদী হয়ে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে সদর মেট্রো থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ একটি মামলা করে। এ মামলায় ফরিদ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান বলেন, এ ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। হামলায় ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।