৬৫০ উইকেটের ক্লাবে রশিদ, কত দূরে সাকিব


লেগস্পিনের ঘূর্ণিজাদুতে ব্যাটারদের ঘায়েল করতে ওস্তাদ রশিদ খান। তিনি যখন বোলিংয়ে আসেন, তাঁর প্রত্যেকটা বলেই মনে হয় এই বুঝি উইকেট পড়ল। ‘ব্যাটারদের যম’ নামে পরিচিত আফগান লেগস্পিনার গড়ে চলেছেন একের পর এক রেকর্ড।
ইংল্যান্ডের ১০০ বলের টুর্নামেন্ট ‘দ্য হান্ড্রেড’-এ এবার নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন রশিদ। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বোলার হিসেবে ৬৫০ উইকেট নিয়েছেন আফগান লেগস্পিনার। রেকর্ডটা তিনি করেছেন ঐতিহাসিক লর্ডসে। পরশু দ্য হান্ড্রেড শুরুর প্রথম দিনে ৪ ওভারে ১১ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ওভাল ইনভিন্সিবলসের জার্সিতে রশিদ উইকেটগুলো নিয়েছেন লন্ডন স্পিরিটের বিপক্ষে। হানড্রেড ১০০ বলের খেলা হলেও এটি টি-টোয়েন্টির স্বীকৃতি পেয়েছে। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ৪৮২ ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ৬৫১ উইকেট। অন্যদিকে সাকিব আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছাড়লেও বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নিয়মিত খেলেন। তবে এখন তাঁর সেরা ফর্মে নেই বলে রশিদকে ছোঁয়া সাকিবের জন্য অনেক কঠিনই বলতে হবে।
রশিদের পরে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় দুইয়ে ডোয়াইন ব্রাভো। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ব্রাভো নিয়েছেন ৬৩১ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অলরাউন্ডারের এখন সেই সুযোগ নেই বললেই চলে। গত বছর ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) মাঝপথে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। বেশির ভাগ সময়ই তিনি কোচের দায়িত্ব পালন করেন। মাঝে মধ্যে মাঝারি সারির কিছু লিগে খেলেন।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর তালিকায় তিন, চার ও পাঁচে আছেন সুনীল নারাইন, ইমরান তাহির ও সাকিব। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে নারাইন, তাহির ও সাকিবের উইকেট ৫৮৯, ৫৪৭ ও ৪৯৮। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতি টানা সাকিব এ বছর পিএসএল ও গ্লোবাল সুপার লিগে (জিএসএল) খেলেছেন। যেখানে পিএসএলে নিয়েছেন ১ উইকেট আর ৫ উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। মাঝে একটা সময় বোলিং নিষেধাজ্ঞায় না পড়লে তাঁর উইকেট সংখ্যা আরেকটু বাড়তে পারত। এ ছাড়াও ২০২৫ বিপিএল তিনি খেলতে পারেননি। দেশে এসে তাঁর খেলা নিয়ে রয়েছে অনেক ‘যদি-কিন্তু’। এবারের বিপিএলেও তাই তাঁর খেলার সম্ভাবনা অনেক কম।
সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর তালিকায় সেরা পাঁচে রশিদ বাদে নারাইনই বেশি দাপট দেখিয়ে খেলছেন। আইপিএলসহ বিশ্বের শীর্ষ টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেন নারাইন। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ঘূর্ণিজাদুতে একের পর এক উইকেট নেন ক্যারিবীয় এই স্পিনার। সেরা পাঁচে থাকা বোলারদের মধ্যে নারাইন ও রশিদের ক্যারিয়ার তুলনামূলক স্বল্প পরিসরের। রশিদ ও নারাইন খেলছেন ১০ ও ১৪ বছর। এদিকে সাকিব, ব্রাভো ও তাহির খেলছেন ২০০৬ সাল থেকে। এবারের সিপিএলে সাকিব ও তাহির খেলবেন অ্যান্টিগা বারবুডা ফ্যালকনস ও গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে। সেরা সময় আগে পেছনে ফেলে আসা সাকিব-তাহির কী করতে পারেন এবার, সেটাই দেখার বিষয়। ১৫ আগস্ট সেন্ট কিটস-অ্যান্টিগা ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ২০২৫ সিপিএল।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেটশিকারী
উইকেট
রশিদ খান ৬৫১
ডোয়াইন ব্রাভো ৬৩১
সুনীল নারাইন ৫৮৯
ইমরান তাহির ৫৪৭
সাকিব আল হাসান ৪৯৮