জামালপুরে পৌর কর্মচারী আটক, সহকর্মীদের তোপে ২ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিল পুলিশ


জামালপুর পৌরসভার এক কর্মচারীকে নাশকতার সন্দেহে আটকের পর তাঁর সহকর্মীদের তোপের মুখে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
ওই কর্মচারীর নাম আবু খালেক। তিনি পৌরসভার টিকাদানকারী সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত। তাঁকে আজ সোমবার বেলা ২টা দিকে পৌর কার্যালয় থেকে আটকের পর বিকেল ৪টার দিকে সদর থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পৌর কর্মচারীরা জানান, অফিসে দায়িত্ব পালনকালে খালেককে সদর থানার পুলিশ এসে আটক করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তাঁরা খালেকের মুক্তির দাবিতে কাজ বন্ধ করে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। একপর্যায়ে তাঁরা থানার সামনে অবস্থান নেন। পরে খালেককে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
কর্মচারীরা বিকেলে থানা থেকে খালেককে নিয়ে পৌর কার্যালয়ে আসেন। সেখানে কর্মচারীদের উদ্দেশে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান তালুকদার বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘খালেক সাহেবকে অনুরোধ করে বলল, আজকের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। আপনাকে বলব, থানা থেকে যে নির্দেশনা দিয়েছে, তা চাকরিকালীন অবস্থায় মেনে চলবেন।’
জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘আমাদের কর্মচারী অফিসে কর্মরত অবস্থায় পুলিশ তাঁকে আটক করে। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো মামলা নেই। তাই পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছি।’
এ বিষয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মকবুল হোসেন বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন কি না, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাঁকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে দেখা গেছে, তিনি পৌরসভার সেবামূলক কাজে নিয়োজিত। তাঁর কর্মকাণ্ড বর্তমান সরকারের পরিপন্থী নয়। এ ছাড়া তিনি একজন হার্টের রোগী এবং চাকরি আর মাত্র চার মাস রয়েছে। এসব বিবেচনায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’