রাজধানীতে নাশকতাচেষ্টার অভিযোগে আওয়ামী লীগের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার


রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আটজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত একযোগে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র ও মিডিয়া শাখার উপকমিশনার মো. তালেবুর রহমান। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সংগঠিতভাবে উসকানিমূলক তৎপরতা ও নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন।
গোপনে বৈঠক করে তাঁরা কিছু এলাকায় দখল, প্রভাব বিস্তার ও সংঘাত সৃষ্টির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর রাজধানীর ওয়ারী, বংশাল, লালবাগ, সেগুনবাগিচা, মাতুয়াইল, পান্থপথ, বসুন্ধরা ও উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জালাল, দক্ষিণের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শিবলু, কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আফজালুন নেছা হাসান বাসেত, কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন ওরফে লিটন, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার জসীমউদ্দিন হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহাবুবুর রহমান হিরন, আওয়ামী লীগের সাবেক ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সামসুদ্দীন ভূঁইয়া ও গাজীপুর মহানগর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান।
তালেবুর রহমান জানান, গতকাল বিকেলে গ্রেপ্তার করা হয় এস এম জালালকে। এরপর রাত ৮টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত একে একে অন্য সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির উদ্দেশ্যে সংগঠিত তৎপরতায় জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। পুলিশ গণহারে গ্রেপ্তার করছে—এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।