ফোন ধরেননি প্রবাসীর স্ত্রী, প্রাচীর টপকে ঘরে গিয়ে মিলল গলাকাটা লাশ


মেয়ে ও প্রবাসী স্বামীর ফোন ধরছিলেন না আসমা বেগম (৪৫)। উদ্বিগ্ন হন তারা। মেয়ে ফোন দেন প্রতিবেশীকে। প্রাচীর টপকে বাড়ির ভেতরে ঢুকে গলাকাটা লাশ দেখতে পেলেন প্রতিবেশীরা। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ভীমশহরের ভবানীপুর (বাদিপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আসমা বেগম মালয়েশিয়াপ্রবাসী সাজু মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের মেয়ে সোনিয়া আক্তার জানান, গত বুধবার দিবাগত রাত থেকে একাধিকবার ফোন দিয়েও মায়ের কোনো সাড়া পাননি তিনি। পরে তার প্রবাসী বাবা সাজু মিয়াও ফোন করে জানতে চান, মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না। দুজনেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লে সোনিয়া এক প্রতিবেশী নারীকে তাঁর মাকে ডাকতে পাঠান। কয়েকবার ডেকেও সাড়া না পেয়ে আরেক প্রতিবেশীকে বাড়ির প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকতে বলেন তিনি।
প্রাচীর টপকে ভেতর থেকে গেট খুললে এলাকাবাসী ঘরে প্রবেশ করে দেখে আসমা বেগমের নিথর দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে।
খবর পেয়ে পীরগঞ্জ থানা ও ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
স্থানীয়রা জানান, আসমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে একাই বসবাস করতেন। মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তিনি বাড়িতে একা থাকতেন। কী কারণে এবং কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নারীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পেছনের কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’