শিরোনাম
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিলএই সরকারের এক্সিট পলিসি চিন্তা করার সময় এসেছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যজামালপুরে ইজিবাইক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতবাগেরহাটে আসন কমানোর প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ বিএনপি ও জামায়াতমেলানিয়া পুতিনকে পছন্দ করে: ট্রাম্প৩ আগস্ট শহীদ মিনার থেকে নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা করা হবে: নাহিদজুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রকে সংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে: তাহেরতারেক রহমানের নির্দেশনায় কাউনিয়ায় বিনামূল্যে চিকিৎসা ও চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিতগাজীপুরের একটি সংসদীয় আসন বাড়ল, খুশি নেতারাস্কুলছাত্রী ধর্ষণে অভিযুক্তদের সাজার দাবিতে ঝাড়ু-লাঠিমিছিল

৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানের পরও দলগুলো ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রতারণা করেছিল: নাহিদ

৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানের পরও দলগুলো ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রতারণা করেছিল: নাহিদ

নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্র–জনতার সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার গাজীপুর মহানগরীর ঐতিহাসিক রাজবাড়ীর (জেলা প্রশাসক কার্যালয়) সামনের সড়কে আয়োজিত পদযাত্রাপরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি, ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র হতে হবে। এর কোনো বিকল্প আমরা দেখতে চাই না। সরকার জুলাই সনদের খসড়া প্রকাশ করেছে। আমরা বলেছিলাম, জুলাই সনদ ও সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য হলে হবে না, সংস্কার কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, সেই বিষয়ে ঐকমত্য হওয়া লাগবে।’

তিনি বলেন, ‘নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রদের সঙ্গে, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তিনদলীয় জোটের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু সেই রূপরেখা কোনো দল মানেনি।

‘ফলে আমরা এবার আর কোনো প্রতারণার সুযোগ দেব না। জুলাই সনদ হতে হবে, জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে এবং এর আইনি ভিত্তি থাকতে হবে। নির্বাচনে যে দলই সরকার গঠন করে ক্ষমতায় আসুক, তাকে এই সনদ বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে।’

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা আশা করব, ৫ আগস্টের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার এবং সব রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে পারবে। আমাদের আকাঙ্ক্ষিত গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর আমরা সবাই একসঙ্গে বিজয় উদ্‌যাপন করতে পারব।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গাজীপুর সব সময়ই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে এগিয়ে। আন্দোলনে আমরা গাজীপুরবাসীকে আমাদের সঙ্গে পেয়েছি। গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরের মতো দুষ্কৃতকারীকে আমরা বিতাড়িত করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখনো জাহাঙ্গীরের সহযোগীরা বিভিন্ন জায়গায় রয়ে গেছে। আমরা তাদেরও খুব শিগগির বিতাড়িত করব ইনশাল্লাহ।’

এনসিপি নেতা বলেন, ‘আমরা শুনেছি, গাজীপুরে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা। আমি হুঁশিয়ার করতে চাই, বাংলাদেশে যত দিন গণ-অভ্যুত্থানের শক্তি জীবিত আছে, রাজপথে গণ-অভ্যুত্থানের শক্তি সক্রিয় আছে, আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদী শক্তি আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। গাজীপুর থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’

নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা গাজীপুরে শহীদ পরিবার ও আহত ভাই-বোনদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের উদ্দেশে বলতে চাই, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, মুখ্য যুগ্ম সংগঠক আলী নাসের খান, এনসিপির গাজীপুর অঞ্চলের সমন্বয়ক মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সংগঠক এম এম সোহাইল, আব্দুল্লাহ আল মহিন। উপস্থিত ছিলেন সামান্তা শারমিন, তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button