শিরোনাম
পথচারীর উদাসীনতায় ৬০% সড়ক দুর্ঘটনাটেলিগ্রামে সংগঠিত হচ্ছে আ.লীগ, হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে টাকা নিচ্ছেন ওবায়দুল কাদেরমাদকের মামলার জন্য পৃথক তথ্য ব্যবস্থাপনাপথে নিরাপত্তা এখনো দুরাশাভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের কোনো ভূমিকা নেই: পার্লামেন্টে জয়শঙ্করআগামী ১১ দিন নৈরাজ্যের আশঙ্কা, ঠেকাতে এসপিদের এসবির চিঠিকঙ্গো-রুয়ান্ডার শান্তি চুক্তির ফাঁকে খনিজ সম্পদ লুটের ধান্ধায় ট্রাম্পফারাজ করিমের ঘরের দরজায় ঝুলছে দুদকের নোটিশমুক্তিপণ নেওয়ার পরও ৩৫ জিম্মিকে হত্যা করল অপহরণকারীরাওয়াক্ফ এস্টেটগুলোর সংকট উত্তরণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত, দ্রুত সমাধান চাইলেন মোতোয়ালিরা

ইস্তিগফার মুমিনের জীবনে যে সফলতা বয়ে আনে

ইস্তিগফার মুমিনের জীবনে যে সফলতা বয়ে আনে

আমাদের জীবনে গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ এবং সঠিক উপায় হলো ইস্তিগফার—আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। প্রতিটি মুসলমানের উচিত, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ইস্তিগফারের আমল করাটা যেন এক প্রাকৃতিক অভ্যাস হয়ে ওঠে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও নিয়মিত এই আমলটি পালন করতেন।

নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তিগফার করবে, আল্লাহ তার সব সংকট থেকে মুক্তি দেবেন, সব দুশ্চিন্তা দূর করবেন, এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিক দান করবেন।’ (সুনানে নাসায়ি: ৩৮১৯)

হাদিসের বাণী আমাদের শেখায় যে, ইস্তিগফারের মাধ্যমে শুধু গুনাহ মাফ হয় না, বরং দুনিয়া ও আখিরাতে অনেক বরকতও অর্জন হয়। এক কথায়, ইস্তিগফার একটি এমন সুদৃঢ় আমল যা একজন মুসলমানের জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি বয়ে আনে।

ইস্তিগফারের ফজিলত

ইস্তিগফারের মাধ্যমে জীবনের অনেক ফজিলত লাভ হয়—

  • ১. গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
  • ২. বালা-মুসিবত দূর হয়।
  • ৩. রিজিক বৃদ্ধি পায়।
  • ৪. পরিবারে শান্তি আসে।
  • ৫. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
  • ৬. জীবনের বরকত আসে।
  • ৭. হৃদয় স্বচ্ছ ও নির্মল হয়।
  • ৮. আখিরাতে জান্নাত লাভের সুযোগ হয়।

ইস্তিগফার কী, কীভাবে করতে হয়

আল্লাহর নিকট গুনাহ বা পাপের জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার সংকল্প করার নামই হলে ইস্তিগফার। এটা যেকোনো ভাষাতেই করা যায়। মনে মনে ইস্তিগফার করলেও আল্লাহ তা শোনেন, জানেন এবং কবুল করেন।

এ ক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত কিছু বাক্যের মাধ্যমেও ইস্তিগফার করা যায়। যেমন—

এক. ‘আস্তাগফিরুল্লাহ।’ অর্থ: ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।’

দুই. ‘রব্বিগফিরলি ওয়াতুব আলাইয়া, ইন্নাকা আংতাত্ তাওয়াবুর রাহিম’ অর্থ: ‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি অনুগ্রহ করুন। নিশ্চয়ই আপনি তওবা কবুলকারী ও পরম দয়ালু।

প্রতিদিন বেশি বেশি ইস্তিগফার করা সুন্নত এবং আত্মশুদ্ধির অন্যতম পথ। নবীজি (সা.) নিজেও প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ বার ইস্তিগফার করতেন।

একজন মুমিন হিসেবে আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে নিয়মিত ইস্তিগফার করা, যেন আমরা তাঁর ক্ষমা লাভ করি এবং আমাদের জীবনে সুখ, শান্তি, রিজিকের বরকত এবং আখিরাতে জান্নাতের পথ প্রশস্ত হয়। যখনই আমরা ভুল করি, আল্লাহ তাআলার দরবারে ফিরে আসা আমাদের জন্য পরিত্রাণের একমাত্র উপায়।

ইস্তিগফার আমাদের গুনাহ থেকে মুক্তি ও আল্লাহর রহমত অর্জনের সেরা উপায়। আমরা যেন এই মহান আমলটি নিজেদের জীবনে প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত করি এবং আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমত ও ক্ষমা লাভ করি।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button