জাতীয় বৃক্ষমেলায় ১৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকার চারা বিক্রি


এ বছরের বৃক্ষমেলায় বিক্রি হয়েছে ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৪২৩টি চারা, যার মূল্য ১৪ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৪৭৪ টাকা। এসব চারার মধ্যে ছিল ফলজ, বনজ, ঔষধি, বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিসহ আরও নানা ধরনের চারা।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বন ভবনে জাতীয় বৃক্ষমেলা ২০২৫-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে অংশ নেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বলা হয়, গত ২৫ জুন থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপী বৃক্ষমেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। এতে মোট ১১২টি স্টল অংশ নেয়। এর মধ্যে সরকারি ৮টি, বেসরকারি ৮টি, সিঙ্গেল নার্সারি ৯২টি এবং ১৮টি ডাবল নার্সারি ছিল। বিক্রি হওয়া চারার মধ্যে ফলজ ছিল ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪০, বনজ ২ লাখ ৪৮ হাজার ২৭৪, ঔষধি ১ লাখ ১৪ হাজার ৫১৫, মসলা ১ লাখ ১৪৯, ক্যাকটাস ১ লাখ ২ হাজার ৮৯, অর্কিড ৭৪ হাজার ৫৪১, শোভাবর্ধনকারী ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫৭৪, দেশীয় বিরল বা বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি ৩৭ হাজার ৩২১টি এবং অন্যান্য চারা ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ২০টি।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান জানান, বৃক্ষমেলায় অংশগ্রহণকারী পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা করে বন্য প্রাণী সংরক্ষণে তাদের সম্পৃক্ত করে ‘ছাত্র বলয়’ গঠন করা হবে। পাশাপাশি স্টল বরাদ্দে স্বচ্ছতা আনতে বিদ্যমান নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করা হবে এবং আগামীতে আরও জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অনেকে বিপন্ন ও দুর্লভ প্রজাতির গাছ এনেছেন বৃক্ষমেলায়। কেউ কেউ বিদেশি গাছের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন; যা মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে সংযোগ তৈরি করেছে।
জাতীয় বৃক্ষমেলা ২০২৫-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং উপপ্রধান বন সংরক্ষক রকিবুল হাসান।