৮ বছরের মেয়েটি যাবে কোথায়


লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদীতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন প্রবাসীর স্ত্রী এক নারী (৩২)। তাঁর আট বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। সেই মেয়েকে নিয়ে স্বামীর ঘরে মা-মেয়ে বসবাস করত। মেয়ের বাবা মালেশিয়াপ্রবাসী। মায়ের মৃত্যুর পর আট বছরের মেয়েটির ঠাঁই হয়েছে নানার বাড়িতে। ঘটনার পর থেকে অবুঝ শিশু নানার বাড়িতে আছে। তবে বারবার শিশুটি নানার কাছে প্রশ্ন করছে, ‘মা কোথায়? আমি মার কাছে যাব।’
এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারছেন না নানা। কিন্তু ঘটনার দিন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাকে চাকু দিয়ে ভয় দেখানোর কথা মনে আছে শিশুটির। এতে শিশুটি বেশির ভাগ সময়ে ভয় ও আতঙ্কে থাকে বলে জানান শিশুটির নানা। শিশুর নানা বলেন, তাঁর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। এর মধ্যে বড় ছেলে বিদেশে থাকেন। আর ছোট ছেলে তাঁর সঙ্গে মাছের ব্যবসা করেন।
এ ছাড়া দুই মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৯ বছর আগে পাশের গ্রামের যুবকের কাছে বড় মেয়েকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে তাঁদের সংসার ভালোই চলছিল। এর মধ্যে তাঁদের ঘরে জন্ম নেয় একটি কন্যাসন্তান। বর্তমানে মেয়ের জামাই মালেশিয়া থাকেন। কিন্তু এইভাবে তাঁর মেয়েকে নির্যাতন করা হবে, সেটা কোনো দিন কল্পনায়ও আসেনি।
যাঁদের কারণে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। যেন তাঁর মেয়ের মতো আর কোনো মেয়ে এভাবে খারাপ ঘটনার শিকার না হন। কোনো বাবার কোল খালি না হয়। পাশাপাশি মামলা করার পরও ভয়ে দিন কাটছে তাঁর।
এদিকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনের রাজনৈতিক কোনো পরিচয় না থাকলেও প্রধান অভিযুক্ত ফারুক হোসেন মুদিদোকানি। আর তোফায়েল আহমেদ রকি এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবনকারী এবং রিয়াজ মাছ ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোন্নাফ বলেন, দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত তিনজনই গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের রাজনৈতিক কোনো পরিচয় নেই। তাঁদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।