পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করলেই অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কার পাশে বসবে বাংলাদেশ


টি-টোয়েন্টি তো বটেই, কদিন আগেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের বলার মতো পারফরম্যান্স ছিল না। এমনকি লিটন দাস আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হওয়ার পরও সেই চিত্র বদলাতে সময় লেগেছে। এখন ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বাংলাদেশ নিজেদের সবশেষ চার ম্যাচের চারটিতে জিতেছে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছে ১৬ জুলাই। ইতিহাস গড়ার পর বাংলাদেশের জয়যাত্রা চলছে পাকিস্তান সিরিজেও। মিরপুরে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি জিতে লিটন-পারভেজ হোসেন ইমনরা আগেভাগেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছেন। একই মাঠে আজ সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি। এই ম্যাচ জিতলেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করা তৃতীয় দল হবে বাংলাদেশ। এর আগে এই কীর্তি গড়েছিল শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া। যেখানে ২০১৯ সালে পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালে। এবার পাকিস্তান ধবলধোলাই হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার মাঠে।
আজ জিতলে পাকিস্তানকে তিন সংস্করণে ধবলধোলাইয়ের কীর্তিও গড়বে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। গত বছর টেস্টে পাকিস্তানকে ধবলধোলাইয়ের স্বাদ উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাঠেই নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে বাংলাদেশ গড়েছিল এই কীর্তি।
শ্রীলঙ্কায় ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর একই দল নিয়ে বাংলাদেশ খেলছে পাকিস্তান সিরিজ। শেখ মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিবরা তাঁরা মিরপুরেও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত দুইবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে অবশ্য বাংলাদেশ-পাকিস্তান একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিল।
মিরপুরে আজ পাকিস্তানকে হারালে চতুর্থবারের মতো প্রতিপক্ষকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করবে বাংলাদেশ। এর আগে আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এমন কীর্তি গড়েছিল বাংলাদেশ। যেখানে ২০১২ ও ২০২৪ সালে আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দুটি বাংলাদেশ খেলেছিল প্রতিপক্ষের মাঠে। আর ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ করেছিল ঘরের মাঠেই।