হরমুজ প্রণালি বন্ধ হওয়ার খবরে পড়ে গেল বিটকয়েনের দাম


ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড়সড় অভিঘাতের আভাস মিলছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম ১ লাখ মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে; যা গত ২৫ মের পর প্রথমবারের মতো ঘটল।
আজ রোববার ক্রিপটোবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিপটো-পটেটো জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিটকয়েনের দাম প্রায় ৪ শতাংশ কমেছে। আর পুরো সপ্তাহজুড়ে পতন হয়েছে প্রায় ৫.৫ শতাংশ।
ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে এই পতনের প্রভাব পড়েছে অন্যান্য কয়েনের ওপরও। অধিকাংশ কয়েনই রক্তাক্ত বাজারে লাল সংকেত দেখাচ্ছে। কয়েন-গ্লাসের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের কয়েন ভাঙিয়ে ফেলা হয়েছে (পজিশন লিকুইড)।
ক্রিপটো-পটেটোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়িয়েছে এবং ইরানের তিনটি কৌশলগত পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এর জবাবে ইরানের সংসদ বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি পরিবহন পথ ‘হরমুজ প্রণালি’ বন্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এই খবর প্রকাশ পেয়েছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
এই ঘোষণার পরপরই বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় ১ শতাংশ বেড়েছে। বিষয়টি বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা জোরালো করেছে। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিনিয়োগকারীরা এখন বিপদের আশঙ্কা এড়িয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে এবং ক্রিপটো বাজারের পতন থেকে এটি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
বিশ্ববাজারে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তা, ভূরাজনৈতিক সংঘর্ষ এবং জ্বালানির ভবিষ্যৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ—সবকিছু মিলিয়ে আগামী দিনগুলোতে বাজারে আরও বড় মন্দার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এখন নজর থাকবে, বিষয়টি কত দূর পর্যন্ত গড়ায় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কী রূপ নেয়।