ইরানে হামলায় আমেরিকার স্বার্থ কী, বললেন না ট্রাম্প


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানে হামলার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তবে, এর অনেক সমালোচক বা এমনকি অনেক সমর্থকও এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হবেন বলে মনে হয় না। কারণ, তিনি কোথাও উল্লেখ করেননি যে, যুক্তরাষ্ট্র আসন্ন হুমকির মুখে ছিল, যার কারণে মার্কিন সংবিধান অনুসারে এই হামলাকে বৈধতা দেওয়া যেতে পারে।
এর পরিবর্তে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই হামলার কারণ হিসেবে বলেছেন, ইরান মধ্যপ্রাচ্যের একটি ‘বুলিং’ শক্তি এবং তারা ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ স্লোগান দিচ্ছিল। কিন্তু এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, এটি ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ‘আসন্ন হুমকি’ প্রমাণ করে না।
ট্রাম্প আরও বলেছেন, ইরানের বিদ্বেষের কারণে অনেক মানুষ মারা গেছে, কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট করে বলেননি যে, তাঁরা আমেরিকান কিনা।
তিনি আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, আপাতত আরও কোনো হামলার পরিকল্পনা নেই। তবে ইরানকে হুমকি দিয়েছেন, যদি তারা আলোচনার টেবিলে ফিরে না আসে, যদি তারা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করার চুক্তিতে স্বাক্ষর না করে, তাহলে আরও হামলা হবে। তিনি বলেছেন, পরবর্তী হামলাগুলো ‘আরও বড় এবং অনেক সহজ হবে’।
এ ছাড়া, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রতি সব হুমকি দূর করেছে। কিন্তু তিনি ‘এই হুমকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিও’ এমন কথা বলেননি। এটি অনেক আমেরিকানদের কাছে ভালো লাগবে না, যারা মনে করেন, ইসরায়েল এখন যুক্তরাষ্ট্রকে এমন এক দুর্বলতার দিকে টেনে এনেছে যা মধ্যপ্রাচ্যে একটি বৃহত্তর সংঘাতের কারণ হতে পারে। এর ফলে আমেরিকান সৈন্যদের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হতে পারে এবং একটি অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধে আমেরিকান করদাতাদের অর্থ আরও বেশি অপচয় হতে পারে।