পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর রুটে সকাল-সন্ধ্যায় ট্রেন চালুর দাবি


পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর রুটে সকাল ও সন্ধ্যায় ট্রেন চালুসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি। শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন যশোর রেলস্টেশন পরিদর্শনে এলে তাঁর কাছে স্মারকলিপি দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় তিনি আশ্বাস দেন, নতুন কোচ পাওয়া সাপেক্ষে দাবি বিবেচনা করা হবে। এ ছাড়া যশোর চেম্বার অব কমার্সের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির ছয় দফা দাবি হলো—দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোরবেলা ঢাকায় যাওয়ার ও সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার ট্রেনের সময়সূচিসহ নতুন ট্রেন দিতে হবে। পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের বেনাপোল ঢাকা ও দর্শনা সীমান্ত ঢাকা রুটে দুটি করে ট্রেন, যমুনা দিয়ে চিত্রা ট্রেনটির রুট ঠিক রাখাসহ ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের মোট পাঁচটি ট্রেন দিতে হবে। আন্তনগর ট্রেনে সুলভ বগি (সাধারণ বগি) নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য যুক্ত করতে হবে। ট্রেন ভাড়া বাস ভাড়া থেকে কম রাখতে হবে। দর্শন-খুলনা রেলপথ ডাবল করতে হবে।
সংগঠনের সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু রেল প্রকল্প শুরুর সময় বৃহত্তর যশোরবাসীসহ এ অঞ্চলের মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিল। সকালে ঢাকায় পৌঁছে দিনের কাজ দিনেই সেরে রাতে বাড়ি ফিরব। ছয় মাসের অধিককাল প্রকল্পের উদ্বোধন হলেও আমাদের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে দাবির সপক্ষে আমরা দেনদরবার, স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন, রেলসচিব, মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ, রেল অবরোধ, কালো পতাকা প্রদর্শন করেছি। দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। আজ ফের মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। দ্রুত দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।’
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির কাওসার আলী, সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন, সদস্য জিল্লুর রহমান ভিটু, হারুন অর রশিদ, তসলিম-উর রহমান, অ্যাড. আমিনুর রহমান হিরু, খন্দকার আজিজুল হক মনি, ফারাজি আহমেদ সাঈদ বুলবুল, হাবিবুর রহমান মিলন প্রমুখ।
এদিকে, একই দিনে যশোর রেলস্টেশন পরিদর্শনে আসা রেলের মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে যশোর চেম্বার অব কমার্স। স্মারকলিপিতে যশোরের বসুন্দিয়ায় অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো তৈরি, বেনাপোল বন্দরে রেলের কনটেইনার লোড-আনলোড সুবিধা চালুসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক তানভিরুল ইসলাম সোহান প্রমুখ।