লুণ্ঠিত মালামালসহ মেহেরপুরে ৫ ডাকাত সদস্য গ্রেপ্তার


মেহেরপুরের পিরোজপুর ও বাগোয়ান গ্রামে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রামের আমজাদ সরদারের ছেলে জামিরুল ইসলাম (২৬), মৃত মকছেদ মন্ডলের ছেলে বাবুল (৫১), বাগোয়ান গ্রামের আমজাদ সরদারের ছেলে জামিরুল ইসলাম, একই গ্রামের আমজাদ সরদারের ছেলে বাবুল (৪০), রুবেলের ছেলে রাব্বি (২০), এবং সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের খোকন পাইকের ছেলে দিপন পাইক ওরফে ধীপন পাইক (৩৫)।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি (অপারেশন) জাহাঙ্গীর সেলিম জানান, গত ১১ জুন সিঙ্গাপুর থেকে পিরোজপুর গ্রামের ইউসুফ আলী ঢাকায় ফেরেন। সেখানে থেকে বাসযোগে পৌঁছান মেহেরপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে। একটি অটোরিকশায় করে বিদেশ থেকে মালামাল নিয়ে নিজ গ্রাম পিরোজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন নানা ইজারুল ইসলাম। সদর থানার কোলা-আশরাফপুর কড়ইতলার সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন ডাকাত তাদের গতিরোধ করে। ডাকাতদের হাতে থাকা দা, লাঠি, দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে সিঙ্গাপুরী ৬৭ ডলার, দুইটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, একটি বাটন মোবাইল ফোন, একটি টর্চ লাইট, একটি চার্জার লাইট এবং সিটি গোল্ডের একটি নেকলেসসহ বিভিন্ন মালামাল ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার পর মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে। ১২ জুন রাত থেকে পরিচালিত অভিযানে ডাকাতি মালামালসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি জাহাঙ্গীর সেলিম জানান, গ্রেপ্তারকৃত বাবুলের বিরুদ্ধে চোরাচালান, নারী নির্যাতন, বিস্ফোরক, ডাকাতি ও গুরুতর জখমসহ মোট ৯টি মামলা রয়েছে। দিপন পাইকের বিরুদ্ধে মাদক, দস্যুতা ও চুরি সংক্রান্ত ৩টি মামলা এবং জামিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে ২টি মামলা রয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।