শিরোনাম
চাঁদা না পেয়ে ঘরে ঢুকে ব্যবসায়ীকে গুলিব‍্যাংকে হামলা চালানো সেই যুবদল নেতা দল থেকে বহিষ্কার‘নোবেল ডিজিজ’ কী, অনেক নোবেল বিজয়ী এই ‘রোগে’ আক্রান্ত হন কেনকিছু লোক বিদেশে টাকা পাচারের জন্যই কারখানা করেছেন: সাখাওয়াত হোসেনবিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে আজ কেমন করলেন বাংলাদেশি দুই সাঁতারু‘ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু’: হাসপাতাল ভাঙচুর, ফটকে তালাগাজায় খাদ্যের খোঁজে দুই দিনে প্রাণ গেল শতাধিক ফিলিস্তিনির: জাতিসংঘজুলাই হত্যাকাণ্ডে নিহত ১১৪ জনের মরদেহ তোলা হবে রায়েরবাজার গণকবর থেকেজাতীয় ঐক্য গড়তে হাজারো রাজবন্দীকে মুক্তি দিচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টধর্ষণের দিন হাকিমির স্ত্রী-সন্তান ছিলেন ছুটিতে, অভিযোগ নারীর

ইরানে হামলা যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েল-বিরোধীদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে

ইরানে হামলা যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েল-বিরোধীদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে

ইরানে ইসরায়েলের এই হামলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই হামলা ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের সমালোচকদের, বিশেষ করে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অনুসারীদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে পারে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

কয়েক সপ্তাহ ধরেই মার্কিন রাজনীতির ডান ও বাম উভয় শিবিরের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইসরায়েলের প্ররোচনায় ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে না জড়ানোর জন্য সতর্ক করা হচ্ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ মিত্র, যার মধ্যে প্রভাবশালী রক্ষণশীল পডকাস্টার টাকার কার্লসন এবং কংগ্রেসওম্যান মার্জরি টেইলর গ্রিনও রয়েছেন, তাঁরা যুক্তি দিয়েছেন, তেহরানের সঙ্গে সংঘাত ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এজেন্ডার পরিপন্থী হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টেইলর গ্রিন মন্তব্য করেন, ‘আমেরিকানরা ইরানে বোমা মারতে চায় না। কারণ ইসরায়েলের সেক্যুলার সরকার বলছে যে, ইরান যেকোনো দিন পারমাণবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত ২০ বছর ধরে আমাদের এটাই বলা হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, ট্রাম্প তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করার মাত্র তিন ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রথম দফা হামলা শুরু হয়।

মার্কিন রাজনৈতিক মহলে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনমত এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে, বিশেষ করে প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে, এই সমর্থনে ফাটল দেখা যাচ্ছে।

তবে, ইরানের সঙ্গে এই সংঘাত ডানপন্থীদের এই ধারণাকে আরও পাকাপোক্ত করবে যে, ইসরায়েলি এবং মার্কিন স্বার্থ এক ও অভিন্ন নয়। এর ফলে তথাকথিত ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ অনুসারীদের জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে মিত্র নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলার পথ খুলে যেতে পারে। এর পরিণতিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উভয় প্রধান দলেই ইসরায়েলের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন কমতে শুরু করতে পারে। এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের প্রভাবকে আরও জটিল করে তুলবে।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button