গর্ভপাতের পর মাকে মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছেন না তো?


গর্ভপাত পরবর্তী দিনগুলোতে মায়ের শারীরিক এবং মানসিক যত্ন অত্যন্ত জরুরি। প্রথমবারের মতো সন্তান ধারণ করা সায়রা মাহমুদ (ছদ্মনাম) এর গর্ভধারণের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা না হলেও দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের সময় নানা জটিলতা দেখা দেয়। সাড়ে চার মাসের মাথায় তাঁর গর্ভপাত হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় একটি কঠিন সময়। পরিবার ও পরিচিতদের অনেকেই তাঁর স্বাস্থ্য এবং জীবনের অভ্যাসগুলোকে গর্ভপাতের জন্য দায়ী করেন, যা সায়রার মনকে আরও বিধ্বস্ত করে তোলে।
এদিকে, মিথিলা তাবাসসুম (ছদ্মনাম), যিনি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন, যথাযথ সতর্কতা নিয়ে গর্ভধারণ করলেও, চতুর্থ মাসে তাঁরও গর্ভপাত ঘটে। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে তিনি অনুভব করেন যে, তাঁর স্বামী বদলে গেছেন। মিথিলার বিশ্বাস ছিল যে, তাঁর অবহেলার কারণে গর্ভপাত হয়েছে, অথচ তিনি যথাসম্ভব সুরক্ষিত থাকার চেষ্টা করেছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে তিনি একাই শোক ভোগ করেন।
গর্ভপাতের পর মায়ের মানসিক পরিস্থিতি শারীরিকভাবে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে, তার মানসিক অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে যদি পরিবার থেকে সহানুভূতি না মেলে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, গর্ভপাতের পর মায়ের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য যত্ন নেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের—বিশেষত স্বামীর—বিশেষ সহানুভূতিশীল মনোভাব থাকা উচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভপাতের পর মায়েরা সাধারণত পোস্ট ট্রমাটিক স্টেজে থাকেন। এ সময়ে তারা শোক, দুঃখ, অপরাধবোধ এবং অন্যান্য মানসিক চাপ অনুভব করেন। এই মুহূর্তে, শুধু শারীরিক নয়, মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যও অতীব গুরুত্বপূর্ণ, এবং স্বামীকে সবচেয়ে বেশি সহানুভূতির প্রমাণ দিতে হবে।