চাঁদার দাবিতে সাংবাদিকের বাড়িতে ত্রাসের অভিযোগ, বিহারি জনির বিরুদ্ধে মামলা


সাংবাদিকের কাছে চাঁদা দাবি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর পল্লবীর সন্ত্রাসী জনি ওরফে বিহারি জনির বিরুদ্ধে করা মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্লবী থানায় জনি ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সিনিয়র রিপোর্টার সোলায়মান হোসেন শাওন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই মাস ধরে জনি সাংবাদিক শাওন ও তাঁর বাবা কাওসার হোসেনকে হোয়াটসঅ্যাপে হুমকি দিয়ে আসছিল।
চাঁদা না দেওয়ায় শাওনের পৈত্রিক বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয় এবং মাসিক ভাড়া জনির কাছে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। সবশেষে গত ৩০ আগস্ট রাতে জনির নেতৃত্বে ১০–১২ জন সন্ত্রাসী ওই বাড়িতে প্রবেশ করে ভাড়াটিয়াদের আতঙ্কিত করে। অভিযোগ রয়েছে, সেদিন রাতে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য জনি অস্ত্রের মহড়াও দেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক শাওন বলেন, ‘প্রথমে যখন হোয়াটসঅ্যাপে হুমকি দেয়, তখন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু সম্প্রতি আমাদের বাড়িতে ঢুকে ভাড়াটিয়াদের আতঙ্কিত করছে। এমনকি একজন ভাড়াটিয়া পরিবার ভয়ে বাসা ছেড়ে চলে গেছে। বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’
এরপর মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্লবী থানায় জনি ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন সোলায়মান শাওন। বুধবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার ওসি মো. শফিউল ইসলাম বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামি বিহারি জনি এবং তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এলাকাবাসীর বরাতে জানা গেছে, জনি একজন চিহ্নিত মাদকাসক্ত ও সন্ত্রাসী। খুন, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ একাধিক গুরুতর অপরাধে জড়িত সে। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর ৫ আগস্ট মুক্তি পেয়ে এলাকায় পুনরায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। নিজেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনের ভাই মশিউরের ‘শ্যুটার’ পরিচয় দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জনির ভয়ে অনেকে মুখ খুলতে বা থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না।
ক্রাইম জোন ২৪