ট্রাম্পের কড়া নজরদারির মধ্যে বলসোনারোর ভাগ্য নির্ধারণ করছেন ব্রাজিলের আদালত


ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর ঐতিহাসিক বিচার আজ মঙ্গলবার চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে আনা মামলার চূড়ান্ত শুনানি শুরু করেছে। ৭০ বছর বয়সী এই কট্টর ডানপন্থী নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০২২ সালের পুনর্নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরও ক্ষমতায় থাকার জন্য ষড়যন্ত্রের ছক কষেছিলেন।
এই শেষ ধাপের শুনানি ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বিচারপ্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া নজরদারির মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে, যিনি এই মামলাকে তাঁর ব্রাজিলের মিত্রের বিরুদ্ধে ‘উইচ হান্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এই মামলাকে কেন্দ্র করে ব্রাজিলের আমদানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে মামলার বিচারক সুপ্রিম কোর্টের আলেকজান্দ্রে দে মোরায়েসকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছেন এবং তাঁর বেশির ভাগ সহকর্মীর ভিসা বাতিল করেছেন।
বলসোনারো বরাবরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন, যদিও গত জুলাইয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে খালাস পাওয়ার আশা আর করেন না।
তিনি তখন বলেছিলেন, ‘তারা আমাকে দোষী সাব্যস্ত করতে চায়।’
গত শনিবার বিচারপতি মোরায়েস নির্দেশ দেন, বলসোনারোর বাসভবন থেকে বের হওয়া সব যানবাহন তল্লাশি করতে হবে এবং আশপাশের এলাকাও কঠোরভাবে নজরদারিতে রাখতে হবে, যাতে কোনো পালানোর চেষ্টা না হয়।
মোরায়েস ব্রাজিলের সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তি ও দুর্বলতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন, যেগুলোকে বলসোনারো বহুদিন ধরে আক্রমণ করে আসছিলেন। তাঁর সমর্থকদের কাছে তিনি নবীন গণতন্ত্রের সাহসী রক্ষক আর ডানপন্থী সমালোচকদের চোখে তিনি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এক নিপীড়নের প্রতীক।
ব্রাজিলের মধ্য-বামপন্থী রাজনীতিক সিনেটর এলিজিয়ানি গামা বলেন, বিচারপতি মোরায়েস গণতন্ত্রবিরোধী অপরাধের বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টে চলা অনেক হাই প্রোফাইল মামলার মতো এই বিচারও সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এর ফলে লাখ লাখ ব্রাজিলিয়ান তাঁদের টিভি ও ফোনে দেশটির গভীরভাবে বিভাজিত রাজনৈতিক ইতিহাসের আরেকটি নাটকীয় অধ্যায়ের সাক্ষী হবেন।
ক্রাইম জোন ২৪