মাউশির চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা


মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে এই মামলা করেন কেরানীগঞ্জের আগানগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক নাসির উদ্দিন।
বিচারক দেবী রানী রায় ২৬ আগস্ট মামলার গ্রহণের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আরিফুল ইসলাম।
মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন ওই স্কুলের সাবেক সভাপতি জাকির আহমেদ, প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন, তাঁর স্ত্রী শিক্ষক রাসিদা আক্তার, উপ-আঞ্চলিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ঢাকার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং কেরানীগঞ্জের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০০৫ সালের ৩ মার্চ পত্রিকায় সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ মার্চ নিয়োগদানের লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হন বাদী। ২০ মার্চ তিনি সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি চাকরি করেন।
এরপর জাকির আহমেদ এবং তোফাজ্জল হোসেন বাদী নাসির উদ্দিনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং হুমকি-ধমকি দিয়ে কোনো নোটিশ না দিয়েই বিদ্যালয় থেকে তাঁকে অব্যাহতিসহ বের করে দেন।
২০১৩ সালের ২২ মার্চ একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাসিদা আক্তারকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বাদীর অভিযোগ, তাঁর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কাগজপত্র জালজালিয়াতি করে রাসিদা আক্তারকে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত করান, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ। বিবাদীদের এমন কর্মকাণ্ডে বাদী ক্ষতিগ্রস্ত হন।
২০১৩ সালে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সময় মাউশির মহাপরিচালক ছিলেন ফাহিমা খাতুন। ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি এ দায়িত্ব নেন তিনি। ২০১৬ সালের ৪ জুলাই অবসরে যান ফাহিমা খাতুন।
ক্রাইম জোন ২৪