চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কুবিতে বিক্ষোভ


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় বাসিন্দাদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে, আমি কে—চবিয়ান চবিয়ান’, ‘চবিতে হামলা কেন—ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘আমার ভাই আহত কেন—ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘পারলে আমাদের নিরাপত্তা দে—নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
ফার্মেসি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম ভূঁইয়া বলেন, সন্ত্রাসীরা কখনোই গ্রামবাসী হতে পারেন না। যাঁরা হামলা চালান, তাঁরা সন্ত্রাসী। প্রশ্ন উঠছে, এত সেনাবাহিনী ও পুলিশ থাকা সত্ত্বেও এ সন্ত্রাসীরা কীভাবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে?
জলপাই রঙের পোশাকধারীরা টহল দিলেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। আমরা এ ব্যর্থ প্রশাসনকে ধিক্কার জানাই, যারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারে না। পরশু দিন আমাদের সহযোদ্ধা নুর ভাইয়ের ওপর হামলায়ও এই প্রশাসন জড়িত ছিল। আজও তারা আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরাফ ভূঁইয়া বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর গতকাল শনিবার নির্মম হামলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা গভীর রাত পর্যন্ত বাইরে অবস্থান করলেও তারা অসহায়ভাবে বারবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। আমরা দেখেছি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আহাজারি করছেন, তিনি কারও সহযোগিতা পাননি।’
আরাফ ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘আমাদের সহযোদ্ধা নুর ভাইয়ের ওপর রাষ্ট্রযন্ত্রের সহযোগিতায় হামলা চালানো হয়েছিল। যেখানে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও জাতীয় পার্টি একসঙ্গে মিলেমিশে অংশ নেয়। এমনকি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতেই নুর ভাইকে টার্গেট করা হয়েছে।
জি এম কাদের গ্যাংকে আমরা ভারতীয় আধিপত্যবাদের লিটমাস টেস্ট হিসেবে দেখি। বর্তমান সরকার ছাত্রদের জুলাইয়ের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের দায়িত্ব ফেসবুকে নিন্দা জানানো নয়, বরং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যদি তারা তা করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের গদি ছেড়ে দেওয়াই উচিত।’
কুবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবুল বাশার বলেন, ক্যাম্পাসে হামলার জন্য অন্যতম দায়ী ইন্টেরিম। ইন্টেরিম শুরু থেকে ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দিয়ে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। তুচ্ছ ঘটনা দিয়ে মব কায়েম করে ছাত্র-জনতাকে দমনের চেষ্টা করছে। ছাত্রনেতাদের টার্গেট করে বারবার হামলা করা হচ্ছে।
আবুল বাশার আরও বলেন, ‘আজ সন্ধ্যার মধ্যে যদি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা বন্ধ না হয়, তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দেব। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ব্লক করে কঠোর প্রতিবাদ করতে বাধ্য হব।’
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (৩০ আগস্ট) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মেসে নারী শিক্ষার্থীর গায়ে দারোয়ানের হাত তোলা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
ক্রাইম জোন ২৪